বেনাপোল ও শার্শায় ২৯ টি মন্ডপে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

0
207

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : আর মাত্র কয়েকদিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার প্রতিটি প্রান্তে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। শার্শা উপজেলার দুটি থানার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবছর ২৯টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে রং তুলির কারুকার্য। প্রতিমা শিল্পীরা রং তুলির কাজ নিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এবার ২৯ টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শার্শা থানায় ২০ টি ও বেনাপোল বন্দর থানায় ৯টি মন্ডপ। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। চলছে রং তুলির কারুকার্য। প্রতিমা শিল্পিরা তাদের নিপুন হাতের কারুকার্যে ও রং তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলিকে সৌন্দর্য বর্ধন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিচু কিছু মন্ডপে সকল প্রস্তুতি সম্পন্নর পর চলছে মঞ্চ ও অন্যান্য ডেকোরেশনের কাজ।
সকলের সুখ ও মঙ্গল কামনায় মায়ের আগমন ঘটবে এবার। সকল অশুভ শক্তি ও অসুর শক্তির বিনাশ হবে। পৃথিবীর সুন্দর ও শ^াস্বত সুন্দরের জয় হবে, এমনটায় আশা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিটি পুজা মন্ডপে ৫০০ কেজি চালের সম পরিমান ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা অনুদান দিবে সরকার। সেসাথে থাকছে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো স্থানীয় এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের বরাত থেকে বিশেষ উপহার। পুজা মন্ডপগুলিতে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আনসার ও গ্রাম পুলিশের সাথে সাথে পুলিশের তিনটি মোবাইল টিম কাজ করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রতিমা শিল্পীরা আগে যে মজুরী পেতেন গত দুই বছর ধরে সে পরিমানে অর্থ না পাওয়ায় ভাল নেই তারা।

বেনাপোল পাচুয়ার বাওড় মহাশ্মশান দূর্গা মন্দীরের কাজে আসা প্রতিমা শিল্পী সাতক্ষীরার আশাশুনি এলাকার সুশান্তকার সানা বলেন, বছরে পূজার আগে এক মাস কাজ করে যে আয় হয় তাদের তা দিয়ে সারা বছর চলতে হয়। করোনার আগে পুজার সময়ে তিনি প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার কাজ করতেন। কিন্তু এবার মাস জুড়ে তার শ্রমের মুল্য ৫০ হাজারও হচ্ছেনা।

শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বৌদ্যনাথ দাস জানান, পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছেন, মন্ডপ গুলোতে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

শার্শা উপজেলার শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম জানান, পূজা চলাকালীন সময়ে মন্ডপগুলোতে যেন কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ইতিমধ্যে আমরা পূজা উদযাপন কমিটিগুলোর সাথে এনিয়ে মত বিনিময় সভা করেছি বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব চলাকালীন সময়ে শান্তিপূর্ণ পূজা অর্চনার লক্ষ্যে প্রতিটি পূজা মন্ডপ এলাকায় সকল ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। কেউ যদি সোনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করার চেষ্টা করে বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তা আইনানুগভাবে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here