চলন্ত বাসে তরুণী ধর্ষণ: পাঁচ আসামি রিমান্ডে, একজনের দোষ স্বীকার

0
341

খবর৭১ঃ ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে (২২) দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর এক আসামি আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা আসামিদের রিমান্ড আদেশ ও স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের মো. আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার সাজু (২০), বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সোহাগ (২৫), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার মনোয়ার (২৪)।

এ ছাড়া বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুমন (২৪) আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিরা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাত।

এদিন ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ জনের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর অপর এক আসামির স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর আসামি সুমনের স্বীকারোক্তি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী তরুণীর বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার জন্য তিনি বাসে উঠেন। রাত আটটার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বাসের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত নয়টার দিকে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে তার কাছে ৩৫ টাকা ভাড়া চায়। তিনি মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হয়। এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসের চালক, সহকারীসহ ছয়জন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ওই ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। ভুক্তভোগী তরুণী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here