খবর৭১ঃ ওয়েবসাইটে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিস্তারিত তুলে ধরে বলে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারের ভেতর নিরাপত্তা হেফাজতে মারা যান মুশতাক আহমেদ।২০২০ সালের মে মাসে মুশতাক ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুশতাক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামের ঘাটতির সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন এবং ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে মহামারীটির বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়াতে দুর্নীতির বিষয়ে কিশোরের কার্টুনগুলি শেয়ার করেছিলেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, মুশতাকের মৃত্যু বাংলাদেশ সুশীল সমাজে একটি শীতল বার্তা পাঠিয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমালোচনার কারণে এরকম আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করাতে সরকারকে বাধ্য করা উচিত। এক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ফেসবুকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট করা মৃত্যুদণ্ডের সমতুল্য হওয়া উচিত নয়।
ওয়েবসাইটে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিস্তারিত তুলে ধরে বলে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারের ভেতর নিরাপত্তা হেফাজতে মারা যান মুশতাক আহমেদ।২০২০ সালের মে মাসে মুশতাক ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুশতাক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামের ঘাটতির সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন এবং ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে মহামারীটির বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়াতে দুর্নীতির বিষয়ে কিশোরের কার্টুনগুলি শেয়ার করেছিলেন।
এদিকে তাদের জামিন আবেদন বারবার বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। বলা হয় তাদের তথ্য, প্রোপাগান্ডা, মিথ্যা বা আপত্তিকর তথ্য, এবং এমন তথ্য যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এবং অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
মুশতাক ও কিশোরকে গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করার সময় মুশতাক সুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুনানিতে মুশতাক অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার জন্য কিশোরের স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
শুনানিতে কিশোর তার আইনজীবীদের বলেছিলেন, তাকে আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তিনি পায়ে ইনফেকশন এবং কানের অভ্যন্তরে সংক্রমণে ভুগছিলেন।
এ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ আছে যে, মুশতাক আহমেদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং এ সময় তার হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ পরানো।