খবর৭১: যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত অস্ত্র আইন সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন শহরে লাখ লাখ বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছেন। মার্চ ফর আওয়ার লাইভস নামের এই বিক্ষোভের মূল অংশটি ছিল ওয়াশিংটনে।
গত মাসে ফ্লোরিডার হাইস্কুলে এক তরুণের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে ১৭ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেদিনের বেঁচে যাওয়া তরুণরাই এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এ ছাড়া নিউইয়র্ক, লসঅ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টনসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহর ছাড়াও স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ আর লন্ডনের মার্কিন দূতাবাসের সামনেও একই সময়ে মার্চ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এসব র্যালিতে মূলত স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ও হলিউড তারকারা।
ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলের ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী ক্যামেরন কাস্কি রাজনীতিবিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা হয় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন নতুবা রাজনীতি ছেড়ে দেন। আর জনগণ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করে আইন চাচ্ছে।
ওয়াশিংটনে বিক্ষোভের এক সংগঠক বলেন, আট লাখেরও বেশি লোক এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ২০০০ সালের মার্চে মিলিয়ন মাম মার্চের পর এটিই অস্ত্র আইন সংস্কার দাবিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
কেন এই বিক্ষোভ?
গত মাসে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে এক তরুণের গুলিতে ১৭ জন নিহত হওয়ার পর এ বিক্ষোভকে মার্কিন অস্ত্র আইনবিরোধী সর্বোচ্চ প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আয়োজকরা আশা করছেন, দেশের প্রচলিত অস্ত্র আইনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবেন ক্ষমতাসীন ট্রাম্প প্রশাসন।
যদিও এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক মতামত জরিপ থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ প্রচলিত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে পরিবর্তন চান।
৬৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন, যে কোনো মানুষের পক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজপ্রাপ্তির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা প্রয়োজন।
কিন্তু এ কাজের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক রাজনীতিবিদরা।
খবর৭১/এস: