খবর ৭১:সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন মিস আর্থ ও মিজ আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। প্রিয়তির জন্ম ঢাকার ফার্মগেটে।
প্রায় ১৭ বছর আগে পড়াশুনার জন্য আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে প্রিয়তি দেশটির নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। ঢাকায় এসে এবার মিরপুরে ইয়াহামার একটি শো-রুমের ওপেনিংয়ে অংশ নেন। প্রিয়তির সাথে কথা হলো নানা বিষয় নিয়ে-
ঢাকায় কেমন সময় কাটলো?
খুবই চমৎকার সময় কেটেছে ঢাকায়। স্বজনদের সাথে ভালো সময় কাটবে এটা তো খুবই স্বাভাবিক। আমার কাছের যারা ছিল তাঁদের সাথে সময় কেটেছে। এছাড়াও কিছু সমাজসেবা মূলক কাজের সাথে আমি যুক্ত সেসবে সময় দিয়েছি, এইতো…
ইয়ামাহার সাথে হঠাৎ যুক্ত হলেন কীভাবে, এর আগে তাঁদের সাথে কাজ করেছেন?
না এর আগে তাঁদের সাথে আমার কাজ করা হয়নি। এবারই প্রথম কাজ করলাম ইয়ামাহার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সাথে। ইয়ামাহার সুব্রত দাস আমার সাথে যোগাযোগ করেন।
আমন্ত্রণ জানায় আমাকে। আমি যাই। এরপর কাজ করার পরিকল্পনা করি।
কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা?
স্বাভাবিক ভাবেই সেটা এক দারুণ অভিজ্ঞতা। ফ্যান্টাস্টিক। তাঁদের পেশাদারিত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। এছাড়াও আমাকে যে শ্রদ্ধাবোধ তারা দেখিয়েছে তা এক কথা দারুণ। আগেই বলেছি ইয়ামাহা একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। এরকম ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকা যায়।
ব্র্যান্ড হিসেবে ইয়ামাকে আপনার কেমন লাগে, আরো কী তাঁদের সাথে কাজ করার ইচ্ছে আছে?
ইয়ামাহা নিঃসন্দেহে একটি ভালো ব্র্যান্ড। আর ভালো ব্র্যান্ড বলেই তাঁদের সাথে আমার যুক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের একই সাথে ভালো লাগার। তারা যদি আমাকে আমন্ত্রণ জানায় নতুন কাজের জন্য, তাহলে আমি অবশ্যই তাঁদের প্রস্তাব গ্রহণ করবো।
আপনি তো পেশাদার বিমানচালক?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আমি কমার্শিয়াল বিমান চালনার লাইসেন্সধারী। আয়ারল্যান্ডে আমি ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করি। আপনার যদি ইউরোপিয়ান ফ্লাইং লাইসেন্স না থাকে তাহলে আপনি ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
ফের ঢাকায় কবে আসা হবে?
দেখি, মন তো চায় ঢাকায় সবসময় উড়ে যেতে। আবার সময় হলে চলে আসবো।
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ৭০০ প্রতিযোগীকে হারিয়ে ‘মিজ আয়ারল্যান্ড’ নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে ওই প্রতিযোগীতায় তিনি পেয়েছেন ‘সুপার মডেল’ ও ‘মিজ ফটোজেনিক’ খেতাব। মিস আর্থ প্রথম রানার আপ নির্বাচিত হন তিনি। এবং পরে তাকে মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল খেতাব দেয় কর্তৃপক্ষ।
খবর ৭১/ ই: