বাগেরহাট সংবাদদাতা:
বরিশালে আত্ম সমর্পনকৃত সুন্দরবনের দস্যু ‘বড় ভাই, ভাই ভাই ও সুমন’ বাহিনীর ৩৮ সদস্যকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। তিন বাহিনীর নামে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলাবার সন্ধ্যায় র্যাপিড এ্যাকশন বেটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর উপ-পরিচালক আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ উজ্জামান এদেরকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪ টায় বরিশাল নগরের রূপাতলীতে র্যাব-৮ এর সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে এ তিন বাহিনীর সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
হস্তান্তরিত দস্যুরা হলেন, বড় ভাই’ বাহিনীর প্রধান মো. আব্দুল ওয়াহিদ মোল্লা (৪৯), সদস্য বাচ্চু শেখ (৩৫), মাহামুদ হাসান (২৩), মো. রফিকুল ইসলাম (৪২), ওলি ইজারাদার (৩১), গোলাম মাওলা (৫০), অলিয়ার শেখ (৫০), বরকত আলী শেখ (৫০), রেজাউল মোল্লা (৪৫), রিপন শেখ (৩১), খালিদ ইজারাদার (৪০), মিকাইল ইজারাদার (৩১), বায়েজিদ মোল্লা (৩৪), লিটন আলী ইজারাদার (৩১), মাজেদ ইজারাদার (৫০), এসএম মেহেদি হাসান মিলন (৩১), আব্দুল মজিদ ভাঙ্গী (৫৫), ইউনুস আলীসহ (৩২) মোট ১৮ সদস্য।
ভাই ভাই বাহিনীর প্রধান মো. ফারুক মোড়ল(৩০), সদস্য রেজাউল সানা (৫০), অনিমেষ বাড়ৈ (২৪), কুতুব উদ্দিন গাজী (৩০), ইমদাদুল হক (২৮), আলমগীর হাওলাদার (৩২), আলামিন হাওলাদার (৩০), হাবিবুর রহমান সিকদারসহ (৩২) আট সদস্য।
সুমন বাহিনীর প্রধান মো. জামাল শরিফ সুমন (৪২), কাইয়ুম জোমাদ্দার (২৯), আলামিন মৃধা (৪০), জামাল তালুকদার (৩৫), রাজা ফরাজি (২৫), আলামিন খাঁ (২৫), মো. রফিকুল (৪১), আকরাম হোসেন গাজী (৩১), জুয়েল রানা (৩০), আবুল কালাম শেখ (৬০), মিলন হাওলাদার (২২), ছমির তালুকদারসহ (৪৫) ১২ সদস্য।
এ মিলে মোট ৩৮ সদস্যকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হল।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, র্যাব-৮ আমাদের কাছে ৩৮ দস্যুকে হস্তান্তর করেছেন।। তাদেরকে বাগেরহাট কারাগারে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। ৩৮ দস্যুর মধ্যে দস্যু বড় ভাই বাহিনীর ১৮ সদস্যদের নামে র্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক আমজাদ হোসেন এবং ভাই ভাই ও সুমন বাহিনীর ২০ সদস্যদের নামে উপ-পরিচালক সৈয়দ উজ্জামান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন।
দস্যুদের সাথে ৩৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সকল প্রকার অস্ত্রের ২ হাজার ৯৬৯ রাউন্ড গোলাবাররুদ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান মোংলা থানার ওসি।