লোকমান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি: দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নওগাঁয় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
গত কয়েক দিনের শীতের কারণে জবুথুবু হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। জেলার ১১টি উপজেলায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এদের অনেকেই ঠা-াজনিত সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। গত তিন দিনে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু।
কয়েকদিন ধরেই পড়ছে ঘন কুয়াশা। শৈত্য প্রবাহ আর পৌষের হাড় কাঁপানো তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। এতেই কাঁপছে উত্তরের এ জনপদ। দুপুর নাগাদ কিছুটা হালকা রোদের দেখা মিললেও শেষ বিকেল থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এবং ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। ফলে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী, কর্মজীবী সাধারণ মানুষরা পরেছেন চরম বেকায়দায়।অনেকেই সকাল অথবা সন্ধ্যায় খর-কুটায় আগুন জেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কাজ ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। কুয়াশায় ঢেকে গেছে পথ-ঘাট। প্রচ- কুয়াশার কারণে যানবাহন গুলো চলতে হচ্ছে লাইট জ্বালিয়ে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন জানান, গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁসহ আশপাশের জেলায় তীব্র শীতের শৈত প্রবাহ বইছে। গত শুক্রবার ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার তা কমে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। রোববার ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ সোমবার তা কমে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী ২-৩ দিন পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকতে পারে। রাতে আকাশ আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। এরপর স্বাভাবিক অবস্থা তামমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম মান্নান বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ৫৩ হাজার ৮২৮টি শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
খবর৭১/এস: