সুদানে সংঘাতের ইতি টানতে আলোচনার লক্ষণ নেই: জাতিসংঘ

0
77

খবর ৭১: সেনাবাহিনীর সাথে আধা-সামরিক বাহিনীর চলমান সংঘাতের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে সুদান। এ সংঘাত ইতি টানার ক্ষেত্রে দুই পক্ষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করবে- এমন কোনো লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত। সুদানে বর্তমানে ৭২ ঘণ্টা (৩ দিনের) যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে অনেক জায়গায় এ যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে রাজধানী খার্তুমসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সুদানে নিযুক্ত সংস্থাটির রাষ্ট্রদূত ভলকার পার্থেস বলেন, সংঘাতে লিপ্ত দুপক্ষই মনে করে তারা বিজয়ী হবে। বুধবার এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

পার্থেস বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সংঘাত বন্ধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনায় বসার জন্য স্পষ্ট কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং উভয়পক্ষই এই সামরিক সংঘাতে নিজেদের সম্ভাব্য বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর সুদানে অবস্থানরত পার্থেস ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নেন। সংঘাত শুরুর পর জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা তাদের কর্মীদের এই এলাকায় সরিয়ে নিয়েছে। বৈঠকে পার্থেস বলেন, দুপক্ষই ভুল হিসাব করছে।

এদিকে সংঘাতে লিপ্ত দুপক্ষ সুদান আর্মড ফোর্সেস (এসএএফ) ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে হওয়া নড়বড়ে এক যুদ্ধবিরতি গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে পার্থেস জানান, সুদানের কিছু অংশে সংঘাত সাময়িক বন্ধ আছে। তবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে লড়াই চলছে। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতিতেও সেনাদের তৎপরতা এবং লড়াই চলছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।

গত ১৫ এপ্রিল সংঘাত শুরুর পর থেকে রাজধানী খার্তুম যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘাতে অংশ নেয়া যোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডকে ‘যুদ্ধ আইন ও নীতির প্রতি অবজ্ঞা’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দাও করেছেন পার্থেস। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।এতে নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক সুদান ছাড়ছেন। এ ছাড়া সংঘাতে আক্রান্ত হয়েছে হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসামরিক অবকাঠামো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here