খবর৭১ঃ উড়াল সেতুর ওপর যানজটে আটকা পড়ে গন্তব্যেই পৌঁছতে পারলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে! পাঞ্জাবে একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ মেমোরিয়ালে একটি কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল তার। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে গাড়িতেই রওনা দেন তিনি। মোদীর যাত্রাপথে পথ অবরোধ করেছিলেন এক দল বিক্ষোভকারী। একটি সেতুতে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হল মোদীকে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীকে আটকানোর জন্য ওই বিক্ষোভ ছিল না।
ওই ঘটনার পর বিমানবন্দরে ফিরে আধিকারিকদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘বেঁচে ফিরতে ফেরেছি, এই অনেক! এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী (পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী)-কে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘আবহাওয়া খারাপ থাকায় স্থলপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি-র সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে ওই সিদ্ধান্ত।’’ নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। এই ঘটনা নিয়ে পঞ্জাবের চরণজিৎ চন্নী সরকারের থেকে বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নড্ডার অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় মুখ্যমন্ত্রী চন্নীকে ফোনও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোনই তোলেননি। টুইটারে নড্ডা লেখেন, ‘‘কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাকে যে ভাবে ফিরে আসতে হল, তা খুবই দুঃখজনক। এই রকম সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য পঞ্জাবের উন্নয়ন আটকে থাকবে না।’’