খবর ৭১ঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সদ্য মহাকাশে পাঠানো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মালিকানা দুই ব্যক্তির কাছে চলে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি তোলেন। তবে তিনি এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওটারও (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১) মালিকানা চলে গেছে, জানেন তো? এই স্যাটেলাইটের মালিকানা চলে গেছে দুজন লোকের হাতে। সেখান থেকে আপনাদের কিনে নিতে হবে।’
তবে মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট, ঠিক আছে ঘুরুক। এটা আগে ঘুরুক, ওটা আবর্তন করুক পৃথিবীতে। পরিক্রমা করুক তখন দেখা যাবে।’
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে। মহাকাশে উগগ্রহ পাঠানোর তালিকায় ৫৭তম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান।
দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ সভার আয়োজন করে। সভায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ডা. সামীউল আলম সুধীনের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলারও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে যুগ্ম মহাসচিব এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর পরিবচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, শেরে বাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া ও ড্যাবের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
‘চুক্তির অধিকার কে দিয়েছে?’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভারতের সঙ্গে পাঁচটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন অনেক চুক্তি হচ্ছে। এই চুক্তি করার অধিকারটা তাকে (প্রধানমন্ত্রী) কে দিয়েছে? কারণ, এই পার্লামেন্ট তো নির্বাচিত নয়। জনগণের পক্ষে যত চুক্তি করেন আপনি, সেই চুক্তি তো জনগণের চুক্তি নয়। সব চুক্তিগুলো আমরা দেখব। যেমন মিয়ারমারে চুক্তি করেছে একটা লোকও যেতে পারেনি। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি দরকার, সেই তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত হয় নাই। আজকে বছরের পর বছর ভারত তাদের এত ভালো বন্ধু সেই চুক্তি হয়নি।’
খবর ৭১/ইঃ