কলাপাড়ায় ডাঃ এর অভাবে সেবা বঞ্চিত সাধারন মানুষ, জনসাধারনের ভোগান্তি

0
267

খবর৭১:রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
কলাপাড়ায় তিন লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা কলাপাড়া হাসপাতাল। একদিকে চিকিৎসক সঙ্কট এবং অপরদিকে চিকিৎসকদের প্রাইভেট ক্লিনিক কানেকশনে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। জানা যায়, কলাপাড়া হাসপাতাল ও কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে ৩৬ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সেখানে কাগজপত্রে ১৩ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও বাস্তবে রয়েছেন আট জন। বাকি পাঁচজন চিকিৎসক প্রেষনে রয়েছেন। এরা হচ্ছেন ডা: এইচএম মাহবুব আলম ঢাকায়, ডা: মো. কামরুজ্জামান পটুয়াখালীতে, ডা: রফিকুল ইসলাম অসুস্থ্য, ডা: শঙ্কর কুমার পাল ঢাকায়, ডা: আশ্ররাফুল ইসলাম রয়েছেন বরগুনায়। ফলে চিকিৎসক সঙ্কটে রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। যে ক’জন চিকিৎসক বাস্তবে কর্মরত আছেন তাদের সাথে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রয়েছে নিবিড় কানেকশন। গ্রাম-গঞ্জ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র মানুষদের হাসপাতালের যন্ত্রাদি বিকল বলে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার নামে রোগীদের জিম্মি করে কমিশন সহ প্রাইভেট ভাবে রোগী দেখার নামে প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এছাড়া হাসপাতালে গাইনি ও এনেসথিয়া বিভাগের কোন চিকিৎসক না থাকায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিতে আসা রোগীরা চরম বিপাকে পড়ছেন। ৩৬জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কলাপাড়া কিংবা কুয়াকাটায় একজন নারী চিকিৎসক না থাকায় পর্দানশীল নারী রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন না। অথচ আর্থিক সংগতি না থাকায় হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে চিকিৎসার জন্য বহু রোগী ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। এদিকে কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল চলছে দুই জন চিকিৎসক দিয়ে। এর মধ্যে একজন আবার প্রশিক্ষণে রয়েছেন। আর কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জোড়াতালি দিয়ে চলছে ছয় জন চিকিৎসক দিয়ে। এর মধ্যে অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্য প্রশাসককে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে দক্ষিনাঞ্চলের এই জনপদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের দাবি প্রেষণ বাতিল করে শুন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক পদায়ন করা হোক। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান, যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ইওসি বিভাগ চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কলাপাড়া হাসপাতালে কলাপাড়া উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাবালী এবং তালতলী উপজেলার অসংখ্য রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন কলাপাড়ায়। এবং দালালদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে বাড়ী ফেরেন।

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here