দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে: মির্জা ফখরুল

0
89

খবর ৭১: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এই সরকার দেশ ভালো আছে বলে প্রচারের চেষ্টা করছে, কিন্তু দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে।

শনিবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দোয়া শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সেখানে জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও কারামুক্তি দোয়া করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে ভুল বোঝানোর মধ্য দিয়ে এই সরকার বোঝাতে চায়, দেশের পরিস্থিতি ভালো আছে। কিন্তু দেশের জনগণ দুঃসময় পার করছে। বর্তমান সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে টিকে আছে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় সরকারের পদত্যাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তা না হলে দেশের পরিস্থিতি ভালো হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সংসদ গঠন করতে হবে। তাহলেই জনগণের মুক্তি মিলবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। দেশের ধর্ম প্রিয় মুসলমানরাও আজ ঈদের নামাজ পড়েছেন, তারা পরস্পরের সঙ্গে মোলাকাত করেই ঈদ মোবারক এর শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো, এবারের ঈদ ছিল আমাদের জন্য বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। কারণ দলীয়ভাবে আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে আছেন তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ শরিক হতে পারেনি।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির (চাল, ডাল, তেল, লবণ) কারণে অনেকে ঈদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেননি। এমনকি এবার ঈদের বাজারও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। আজ সত্যিকার অর্থেই দেশের মানুষের প্রস্তুতি ভালো নেই। নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশের জনগণ খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আগামীতে এ দেশের অর্থনীতি আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ সবসময়ই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। এবারও জনগণ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।

ফখরুল বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি। সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য বারবার সংগ্রাম করেছেন। এখনও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি গৃহবন্দি হয়ে আছেন। তার রোগমুক্তি ও কারামুক্তির জন্য আমরা দোয়া করেছি। মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের যারা আজ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কারাগারে আছেন, বিশেষ করে আমাদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ যারা কারাগারে বন্দি আছেন, তাদের মুক্তির জন্য আমরা দোয়া করেছি।

তিনি বলেন, আমরা দোয়া করেছি বাংলাদেশ যেন গণতন্ত্র ফিরে পায়। আমাদের নেতা-কর্মীরা যাতে সাহস নিয়ে এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে করতে পারে, জনমানুষ উজ্জীবিত হয়ে যেন এই দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারে, সেজন্য আমরা দোয়া চেয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here