বড়দিন, থার্টি ফাস্ট সীমিত পরিসরে আয়োজনের নির্দেশনা

0
377

খবর ৭১: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী দ্রুত বিস্তারের প্রেক্ষিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের উৎসব সীমিত পরিসরে আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই দুটি উৎসবকে ঘিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কায় আয়োজন প্রকাশ্যে না করার নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট নানা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আগামী শনিবার ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। আর ৩১ ডিসেম্বর রাতে খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের উৎসব। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরও এ দুই আয়োজনে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়।

জননিরাপত্তা বিভাগের সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।

জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমিনের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদ্যাপন করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করে পালিত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে আয়োজন সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নজরদারি রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে। কিন্তু এখন বিশ্বের ৯৬টি দেশে করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। জনপরিসরে মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালাভাব দেশে মহামারী পরিস্থিতিকে অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।

কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে এবং রাজনৈতিক সভায় বিপুল মানুষের মাস্কহীনভাবে চলাফেরার ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here