ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

0
363

খবর৭১ঃ এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫৪ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দিনে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৫৪ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৯৭ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট এক হাজার ৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৫টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৮৩৬ জন ও অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমোট ২১৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এ নিয়ে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৯ জনে। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৮৩৬ ও বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ২১৩ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭০৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং একই সময়ে তাদের মধ্য থেকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৫৯৭ জন রোগী।

বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো তথ্যমতে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৯ জন।

চলতি সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছিলেন, এই বছর এপ্রিল ও মে মাস থেকেই বেশ বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা, এই তিনটা এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সহায়ক। ফলে জুন মাস থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। অক্টোবরে প্রকোপ কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

দেশের ইতিহাসে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই বছর প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু বিস্তৃত হয় ৬৪ জেলায়। সেসময় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়ায় এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদিও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে আড়াইশর বেশি মানুষের এই রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

করোনার প্রাদুর্ভাবের বছর ২০২০ সালে ডেঙ্গু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আবার বেড়েছে। অন্যদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ চিত্রও দেখেছে দেশবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here