ভারতের পেট্রাপোলে আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেটের উদ্বোধন হয়েছে

0
194

খবর৭১ঃ

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত ও বাণিজ্য সহজিকরণে ভারতের পেট্রাপোলে একটি আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও একটি কার্গো গেটের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে যৌথভাবে এই আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায়।

ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদীর জন্ম দিনে যাত্রীসেবা আর বাণিজ্য সম্প্রসারনে এমন দুটি সেবামুলক কার্যক্রমের উদ্বোধন হওয়ায় দু’দেশের বাণিজ্যক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মত প্রকাশ করেছেন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
বলেন, ভারতীয় অংশে আগে পাসপোর্ট যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হতো ইমিগ্রেশন সীল মারতে। এই আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেটের উদ্বোধন হওয়ায় এখন থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তী কমবে তেমনি বাড়বে নিরাপত্তা। আর কার্গো টার্মিনাল বাণিজ্য প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে প্রতিবছর চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা গ্রহণ আর ভ্রমণে প্রায় ১৮ লাখ পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াত সহজ করতে ভারত সরকার যাত্রী টার্মিনাল এবং কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। ভারত প্রবেশে যাত্রী চাপ বাড়লেও এর আগে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রোদ বৃষ্টিতে ভিজতে হতো। এই টার্মিনাল তৈরী হওয়াতে সেই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি মিলবে। একই ছাদের নিচে থাকছে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সেবার কার্যক্রম। ১৩০৫ স্কয়ার ফিট আয়তনের যাত্রী টার্মিনালটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকছে ৫৫০ জনের। ভবনটিতে ৩২টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪টি কাস্টমস কাউন্টার ও ৮টি সিকিউরিটি কাউন্টার রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ইতিহাস দির্ঘদিনের। ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল। করোনা কালিন সময়েও তারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। বাণিজ্য গতিশীল আর পাসপোর্ট যাত্রীর দূর্ভোগ কমাতে ভারত সরকার উদ্যোগ নিয়ে যে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেট তৈরী করেছে তাতে দুই দেশ উপকৃত হবে। এমন উদ্যেগ দু’ দেশের সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায় বলেন, ভারতের সব চাইতে কাছের আর প্রতিবেশি বন্ধু দেশ বাংলাদেশ। চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা গ্রহণ ও ভ্রমনে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। তারা যেন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্রে যাতায়াত করতে পারে বিষয়টি মাথায় রেখে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরী করা হয়েছে। রেল পথে বাণিজ্য প্রসারের দিক বিবেচনা করে কার্গো টার্মিনাল তৈরী করা হয়েছে। আগামীতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ এই সর্ম্পক্য আরো বাড়বে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দর পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, নাভারণ সার্কেলের এএসপি মোঃ জুয়েল ইমরান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here