মিরসরাই প্রতিনিধিঃ
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম (ফেইসবুক) এর মাধ্যমে প্রথমে পরিচয়, তারপর মন-বিনিময়, তার সেটা থেকে ভালো লাগা, ভালোবাসা আর সেই ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ।
কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি রেখার জীবনে। অবশেষে পরকীয়ার বলি হয়ে সেই ভালোবাসার মানুষটির কাছে জীবন দিতে হলো রেখা ত্রিপুরাকে।
মিরসরাইয়ের ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়ামারা সাইবেনির খিল ত্রিপুরা পাড়ার শুভ ত্রিপুরার মেয়ে রেখা রাণী ত্রিপুরার সাথে সিলেটের বাসিন্দা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরের সৈনিক প্রশান্ত সিংহ এর সাথে ২০১৬ সালে কোর্ট হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিয়ের প্রথম দুই বছর ভালো কাটলেও সেটি স্থায়ী হয়নি। তারপর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ -বিবাদ লেগেই থাকতো।তাদের ঘরে প্রত্যয় ত্রিপুরা নামে দুই বছরের একটা পুত্র সন্তান রয়েছে।
গত রবিবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে স্বামীর ঘরে লাশ হয় রেখা রাণী ত্রিপুরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেখা রাণী ত্রিপুরার বাবা শুভ ত্রিপুরা বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর ফেইসবুকে প্রেমের সম্পর্ক ধরে ২০১৬ সালে রেখার সাথে সেনাসদস্য প্রশান্ত সিংহ এর কোর্ট হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর চাকরির সুবাদে ঢাকার মিরপুর-১২ (পল্লবী) তে বসবাস করে আসছে। কিন্তু গত সোমবার ভোরে তার স্বামী প্রশান্ত কল দিয়ে জানায় রেখা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুভ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় তার মেয়েকে গলাটিপে এবং বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে আমার মেয়ে রেখার লাশ গ্রহণ করে সৎকার করি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনো আসেনি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
উল্লেখ্য, রেখা রাণী ত্রিপুরা ২০১১ সালে করেরহাট কে.এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বারইয়াহাট কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি এবং ২০১৭ সালে নিজামপুর কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করে।
শুভ ত্রিপুরার ৩ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে রেখা সবার বড়।
রেখার মৃত্যুতে ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।