২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ মৃত্যু, শনাক্তের প্রায় দ্বিগুণ সুস্থ

0
346
মালয়েশিয়ায় দশ গুণ বেশি সংক্রামক করোনার সন্ধান

খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট তিন হাজার ৯৪১ জন মারা গেলেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৭৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন দুই লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৪ জন, যা নতুন শনাক্তের প্রায় দ্বিগুণ।

রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১০ হাজার ৯৫৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৮০১টি। এতে এক হাজার ৯৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৬টি পরীক্ষায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জনে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

করোনাভাইরাস শনাক্তে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫ তম। এরই মধ্যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এশিয়ার মধ্যে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত, ইরান ও সৌদি। আর দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৪ জন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯১ জন।আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে ৩৪ জন মারা গেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ১০ জন।এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ৯৪১ জন। শনাক্ত তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হয়। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here