করোনার ভয় না ঠেকালে প্রশ্রয় পাবে অন্য রোগবালাই

0
621
করোনার ভয় না ঠেকালে প্রশ্রয় পাবে অন্য রোগবালাই

খবর৭১ঃ একদিকে নভেল করোনাভাইরাসের ভয়। আরেকদিকে ঘরবন্দি জীবনে বাড়ছে দুশ্চিন্তার ভার। এভাবে আর কত দিন দুশ্চিন্তার সঙ্গে ঘর করতে হবে, তারও কোনও ঠিক নেই। এই দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের হাত ধরে অন্য রোগও এসে হাজির হতে পারে। তাই বলে করোনার ভয়ে অন্য রোগ বালাইকে মোটেও প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না।

করোনার ভয়ে কী কী বাড়তে পারে?

ওবেসিটিঃ মানসিক চাপ বাড়লে অনেকেরই হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো মনোভাব হয়। তার প্রভাব পড়ে জীবনযাপনে। বাছবিচার না করে যা খুশি খেতে শুরু করেন। ব্যায়াম ছেড়ে দেন। ফলে ওজন বাড়ে। তার হাত ধরে হাই প্রেশার, হাই কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার, হৃদরোগ, বাত ইত্যাদির আশঙ্কা বাড়ে। রোগ থাকলে বাড়ে তার প্রকোপ।

ডায়াবিটিসঃ এই অসুখ এত দিন হয়তো ছিল আয়ত্তের মধ্যে। কারণ সঠিক খাবার খেতেন, ব্যায়াম করতেন। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতেন। করোনার ভয়ে সব বন্ধ হয়ে গেল। বন্ধ হল হাঁটাহাটি।শিকেয় উঠল খাওয়ার নিয়ম। সঙ্গে যোগ হল তীব্র মানসিক চাপ। ফলে রোগের প্রকোপ বাড়ার সব কারণই মজুত।

অনিদ্রাঃ মানসিক চাপের সঙ্গে যোগ আছে অনিদ্রার ও অনিদ্রার। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে আবার খিটখিটে মেজাজ ও মনোযোগ কমার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতেও সিদ্ধহস্ত সে। ফলে যে রোগের চিন্তায় রাতের ঘুম বরবাদ হচ্ছে, সে রোগ হওয়ারই আশঙ্কাই হয়তো বা বাড়ছে ঘুরপথে।

বদহজমঃ মানসিক চাপ বাড়লে অম্বল, বদহজম সব বাড়ে।নিয়ম মানা হয় না বলে আরও বাড়ে। টুকটাক অম্বল বা হজমের ওষুধ খেয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টায় তা বেড়ে যেতে পারে আরও।

ঋতুস্রাবঃ উদ্বেগের হাত ধরেই শুরু হতে পারে অনিয়মিত ঋতুস্রাব। মাসে একাধিক বার হওয়ার নেপথ্যেও টেনশন অন্যতম কারণ।

মনোবিদদের মতে, দুশ্চিন্তা করে যখন করোনাকে ঠেকানো যাবে না তখন দুশ্চিন্তাকেই বরং ঠেকানোর চেষ্টা করুন। সঙ্গে ঠিক করুন জীবনযাপন। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সে কাজ অনেক সহজ হয়। যেমন—

১। জীবনযাপনের নতুন নিয়মগুলি মেনে নিন। যত তাড়াতাড়ি মানবেন, তত ভাল থাকবেন।

২। রিল্যাক্সেশনের নতুন পথ খুঁজুন। সে বই পড়া হোক বা গান শোনা। ঘরে বসে সিনেমা দেখা বা হালকা ব্যায়াম করা। যোগাসন ও মেডিটেশনে মন হালকা হয়। কাজেই করে দেখতে পারেন।

৩। টিভিতে বা মোবাইলে হালকা অনুষ্ঠান দেখুন। হাসির অনুষ্ঠান দেখলে আরও ভাল।

৪। ডায়াবিটিস, হাইপ্রেশার ও ওবেসিটি থাকলে রোজ নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। এখন হঠাৎ জিমে ভর্তি হয়ে যাওয়াও যাবে না। প্রশিক্ষক রেখে ব্যায়াম করার উপায়ও নেই। এখন যা করতে হবে একা। মনকে সে ভাবে প্রস্তুত করে নিন। প্রয়োজনে ফোনে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন।

৫। খাওয়াতেও একটু রাশ টানুন। ডায়াবিটিস ও মেদবাহুল্য থাকলে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টিতে রাশ টানতে হবে। হাই প্রেশার থাকলে নোনতা খাবার ও ভাজাভুজি।

৬। ঘন ঘন চা-কফি-কোলা খেয়ে ঘুম নষ্ট করবেন না। মন ভাল রাখার অর্ধেক কিন্তু লুকিয়ে আছে এই ঘুমের মাঝেই।

৭। বাইরে করোনা আছে ভেবে কোনও অস্বস্তি শুরু হলে চিকিৎসা না করিয়ে বসে থাকবেন না। ফোনে বা অনলাইনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here