মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় ১০টি ড্রেজার মেশিন পুড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় বালুভর্তি ৩টি ট্রাক জব্দ করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ পাইপ নষ্ট করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার খোয়াই নদীর বিভিন্ন অংশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল খোয়াই নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন উদ্দিন ইকবালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার পাকুড়িয়া থেকে নরপতি ঘরগাও এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালান। এসময় নদীর অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ১০টি ড্রেজার মেশিন পুড়িয়ে দেন এবং বিপুল পরিমাণ পাইপ নষ্ট করেন। এছাড়া নদী এলাকা থেকে বালুভর্তি ৩টি ট্রাক জব্দ করে নিয়ে আসেন। তাকে সহযোগিতা করেন চুনারুঘাট থানার দারাগা মোঃ হানিফ মিয়াসহ একদল পুলিশ।এদিকে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার র্পুবাঞ্চলে চুনারুঘাট-সাটিয়াজুরী সড়ক দিয়ে অবাধে বালু পরিবহনের কারণে সড়ক ধেবে যায়। এ নিয়ে সোমবার গাজীগঞ্জ ও চাটপাড়া এলাকার লোকজন সড়কটি বন্ধ করে দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবাল ঘটনাস্থল থেকে বালুভর্তি ট্রাক জব্দ করে ইউপি মেম্বারের জিম্মায়
শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে কর্মমুখী মানুষের ভিড়
মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কর্মস্থলে ফিরতি মানুষের দুর্ভোগ চরমে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন শেষে শুরু হয়েছে আরেক যুদ্ধ, ট্রেন ও বাসে চড়ে কর্মস্থলে ফেরা। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে কর্মমুখী মানুষের ভিড় বেশি।যাত্রীর টিকিট কাউন্টারে নেই। আছে কালোবাজারি সিন্ডিকেটের হাতে।ঈদের ছুটি শেষে এখনো কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কর্মস্থলে ফিরতে জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষের ঢল নামে এ স্টেশনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেককেই ট্রেনের ছাদে উঠতে দেখা যায়।সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তুঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস বিকাল সাড়ে ৩টায় শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে পৌছা মাত্রাই যাত্রীরা দরজা, জানালা দিয়ে লাফিয়ে উঠতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রেনের ভিতরে কোথায় ঠাঁই নেই। যাত্রীরা জানালা বেঁয়ে উঠতে থাকে ছাদে। ট্রেনের ছাদেও যাত্রীদের ভরপুর। চট্টগ্রামগামী যাত্রী মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলেতো ফিরতেই হবে। তাই ভোগান্তির মধ্যেই ফিরছি।বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা কুলসুমা আক্তার, রিনা বেগম, মরিয়ম আক্তার, পারভিন সুলতানা পাহাড়িকা ট্রেনে যাবেন চট্টগ্রাম। কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। ঈদে ছুটি বাড়িয়ে নেয়াতে ফিরছেন একটু দেরি করেই। ট্রেনের ভিতরে উঠতে না পারায় জানালা বেয়ে ছাদে উঠেছেন।তারা জানান- জীবনেও ট্রেনের ছাদে উঠেননি। আজই প্রথম ট্রেনের ছাদে ছেড়ে চট্টগ্রাম যেতে হবে। ভয় লাগছে, তারপরও যেতে হবে। তাদের মত এমন অনেক নারীই জীবনে প্রথম ট্রেনের ছাদে ছড়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের কম্পিউটার বিভাগের ইনচার্জ কাউছার আহমেদ জানান- চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনে যাত্রী বেশি হওয়ায় টিকিট বিক্রি বেড়ে গেছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে।শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারি স্টেশন মাষ্টার গৌর প্রসাদ দাস পলাশ জানান- যারা ঈদে ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছিলেন মুলত তারাই এখন ফিরছেন কর্মস্থলে। তবে চট্টগ্রামগামী ট্রেনেই যাত্রীর ভিড় বেশি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের পরে হয়তো এরকম ভিড় আর থাকবে। সব যাত্রী যাহাতে ট্রেনে উঠতে পারে এজন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০-১৫ মিনিট বেশি সময় ট্রেন দাড় করিয়ে রাখতে হয়।