ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতের মানববন্ধন, সমালোচনা হানিফের

0
266

খবর৭১ঃ বিতর্কিত কমিটির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে নারী নেত্রীদের ওপর হামলা ও শারীরিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন থেকে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সৃষ্ট পরিস্থিতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্যের সমালোচনা করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে পদবঞ্চিতপক্ষের নারী নেত্রীসহ কয়েকজনের ওপর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের হামলার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।

মধুর ক্যান্টিনের সোমবারের ঘটনাকে গতকাল মঙ্গলবার ‘অত্যন্ত সামান্য ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।

তার বক্তব্যের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসুর সদস্য (ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক) নিপু ইসলাম তন্বী মানববন্ধনে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রশ্ন রাখতে চাই, মধুর ক্যান্টিনের ঘটনাটি কোন পর্যায়ে গেলে তাদের মনে হতো এটি একটি বিশাল আকারের ঘটনা? আমাদের আর কতটুকু লাঞ্ছিত করলে তাদের মনে হতো ছাত্রলীগের নারীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে? প্রশ্ন ওঠে, আমরা মারা যাওয়ার পরে কি তাহলে ঘটনাটির সত্যতা প্রকাশ পেত?’

তন্বী আরও বলেন, ‘নারী নেতৃত্বের ওপর আর কত আঘাত এলে টনক নড়বে শীর্ষ নেতাদের? কবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে আমরা বিবৃতি পাব যে ছাত্রলীগের নারী নেতৃত্বের ওপর হামলা হয়েছে?’

মধুর ক্যান্টিনের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তন্বী বলেন, ‘ওই তদন্ত কমিটি আমরা যারা ভুক্তভোগী তাদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করে করা হয়নি। তাহলে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে যে তদন্ত কমিটি করা হলো, সেটি কি আমাদের সঙ্গে শুধুই প্রহসন করা হলো না? তদন্ত কমিটিকে বেঁধে দেয়া সময় আজই শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেনি।’

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংদদ (ডাকসু)’র কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার বলেন, ‘এখানে এমন ২২ জনের মতো বিভিন্ন পদধারী নেতা রয়েছেন, যারা এর আগে ছাত্রলীগের কোনও পদে ছিলেন না। অথচ ছাত্রলীগের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য কয়েকটি পোস্ট অতিক্রম করে আসতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক নেতা আছেন যাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নানা অভিযোগ রয়েছে। তারপরও তারা কীভাবে পদ পায়? আর আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছি, তাতেই আমাদের উপর হামলা, আমাদের বোনদের লাঞ্ছিত করা হলো। অনেকে এ ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের দাবি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের পদ বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।’

এছাড়া মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ বাবু, দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, ডাকসু’র ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর ও ডাকসু’র সদস্য তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here