খবর ৭১ঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এসএম হলের লাইন কোনোভাবেই ছোট হচ্ছে না। যেসব ভোটার সকাল আটটায় লাইনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা ঠিক সেখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছেন। এতে নতুন ভোটার আসলেও ভোট দিতে পারছেন না। ভোট দিতে আসা বেশ কিছু শিক্ষার্থী এসব অভিযোগ করেছেন।
এছাড়াও বেশকয়েকটি হলে ভোটে অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই বেগম রোকেয়া হলের তিনটি ব্যালট বাক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নয়টা বুথের মধ্যে ছয়টাতে চলছে ভোটগ্রহণ। অন্যদিকে কুয়েত-মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেখানকার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও হল প্রভোস্ট কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, ভোটার লাইনে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। বাইরের শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ আসলেও তাদের হাতে ছাত্রলীগের প্যানেল ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই অভিযোগটিও যাচাইবাছাই করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে কয়েকবার মোবাইলে কল করেও পাওয়া যায়নি।
এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠন এবং স্বতন্ত্র জোট মিলে মোট ১৩টি প্যানেলে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন। এর বাইরে বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রয়েছেন।