নৌকা প্রতীক প্রার্থীর জন্য এক সুযোগ আর ধানের শীষের প্রার্থীর জন্য আরেক সুযোগ

0
259

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ  যশোরের চৌগাছায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ততই শংকা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল। ইতোমধ্যে গোটা উপজেলাতে সরকারী দল একক ভাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে, পক্ষান্তরে বিরোধী দল তথা বিএনপি জামায়াত হয়ে পড়েছেন কোনঠাসা। হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা কর্মকান্ডে অনেকটাই ব্যাকফুটে বিরোধী শিবির। এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে একতরফা নির্বাচন হবে বলে মনে করেন তারা। তবে সব ধরনের ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে ৩০ তারিখে জনগন তাদের মতামত ব্যালটের মাধ্যমেই জানান দিবেন বলে মনে করেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছাতে সরকারী দলের একক আধিপাত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর থেকে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে তাদের প্রচারনা চলছে সমানতালে। পক্ষান্তরে প্রধান বিরোধী দল ২০ দলীয় জোটের প্রকাশ্যে কোন প্রচার প্রচারনা দেখা যাচ্ছে না। হামলা, মামলা, ভয়ভীতির কারনে তারা অনেকটাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। তবে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে তারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলেও অনেকে জানান। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উপজেলা কমিটির অন্যতম এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চৌগাছাতে সরকারী দল এক ধরনের সুযোগ ভোগ করছে আর বিএনপি জামায়াত অন্য সুযোগ ভোগ করছে। সেটি হচ্ছে সরকারী প্রভাব খাটিয়ে তারা গোটা উপজেলাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মীরা কোন অপরাধ না করেও হচ্ছেন কথিত নাশকতা মামলার আসামী। সম্প্রতি ১৪৪ জনের নামে করা মামলার কারনে অনেকেই গ্রেফতার আতংকে এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। ওই নেতা অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে কেটে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে, প্রচর মাইক ভাংচুর করেছে, কোন চালক যেন আমাদের প্রচারে যানবাহন না দেয় তার জন্য হুমকি দিচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে মাইকে প্রচার রয়েছে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ। এসব নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ঠদের লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি। আমরা প্রশাসনের নিরপেক্ষতার জন্য অপেক্ষায় আছি বলে তিনি জানান। উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে সবার জন্য সমান সুযোগ অপরিহার্য। দুপুর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এক দল মাইকিং করছে অন্য দল করতে পারছে না, কেন পারছে সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারী দলের পোষ্টার আর অফিসে গোটা উপজেলা ছেয়ে গেছে পক্ষান্তরে প্রধান বিরোধী দলের নেই কোন অফিস এমনকি পোষ্টারও নেই। এসব বিষয় অবশ্যই খতিয়ে দেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here