খবর৭১: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সফরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো ক্ষমতায় থাকার সুবিধা। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মকরত সাংবাদিকদের জন্য তিন দিনব্যাপী ‘নির্বাচন বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ’অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সফরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর সমালোচনা করছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘এইটা তো মুশকিল। এ কাজটা এ ধরনের যে, জনগণের কাজ আর দলের কাজ বিচ্ছিন্ন করে দেখা মুশকিল। এটা দেখা যায় না। এটা আমি এভাবে দেখছি যে, এটা ক্ষমতায় থাকার একটা সুবিধা। যে দল যখন ক্ষমতায় যাবে, তারা এ সুবিধা নেবেই। এটা নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই।’
“সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে তদারকি করতে পারে। তার আগে এসব বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ কমিশনের নেই”-বলেও জানান তিনি।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে বলে আপনার মনে হয়? জানতে চাইলে শামসুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কী হবে, কেমন হবে-এটি কিন্তু নির্ভর কন্ডিশনের উপর। সব দলকে অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে। এটি না হলে বিকৃত একটি নির্বাচন হয়। যেটা কারো কাম্য নয়। এখানে প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। সরকারের এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত বা এমন কোনও কাজ করা উচিত হবে না যা অন্য দলকে প্রভাবিত করে। এছাড়া নির্বাচন বয়কট করাও বন্ধ হওয়া উচিত।’
সরকারি দল অনুমতি পাচ্ছে কিন্তু কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বারবার সভা-সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পাচ্ছে না। বর্তমান এ বাস্তবতায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব কি না কিংবা কতটা সম্ভব? জানতে চাইলে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটা খারাপ। লেভেল প্লেইং ফিল্ড হচ্ছে না। কাউকে কাউকে অনুমতি দিলেন আর কাউকে কাউকে দিলেন না। তাহলে তো লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকলো না।’
শামসুল হুদা বলেন, ‘দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বলছি, রাস্তার উপরে মিছিল, মিটিং, শোক সভা, আনন্দ মিছিল ইত্যাদি করলে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজে অনেক অসুবিধা হয়। এখন এটি বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত। দেশের অর্থনীতির চাকাকে বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় এসব না করার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের এখন থেকেই ভেবে দেখা দরকার।’
প্রশিক্ষণের প্রথম দিন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর।
খবর৭১/এস: