খবর ৭১:জয়পুরহাটে কলেজছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় সাইফুল ইসলাম বাবু নামে এক কলেজশিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জয়পুরহাট নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-২ এবং অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ এ আদেন দেন। এসিডদগ্ধ সাদিয়া ইসলাম সোমা জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কাথাইল গ্রামের আব্দুস ছালামের মেয়ে ও কালাই মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম বাবু একই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে ও গোবিন্দগঞ্জ ইসলামপুর-পিয়ারাপুর আইজিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক। তিনি সোমার আপন ফুপা বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট রাতে কালাই পৌর এলাকার আব্দুস ছালামের কলেজপড়ুয়া মেয়ে সোমা নিজ বাড়ির শোয়ার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে তার শোয়ার ঘরের জানালা দিয়ে ফুফা সাইফুল ইসলাম সোমবার শরীরে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীরা তাকে দেখে ফেলে।
পরে এসিডদগ্ধ সোমাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে ঢাকার এএসএফ ফাউন্ডেশনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এএসএফ ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সোমা।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট সোমার ফুপা কলেজশিক্ষক সাইফুল ইসলাম বাবুকে আসামি করে কালাই থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এবং আদালত মঙ্গলবার ওই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর সোমার বাবা আব্দুস ছালাম আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। আসামি সাইফুল ইসলাম বাবুর ফাঁসি দাবি করে বলেন,আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।
খবর ৭১/ এস: