খবর ৭১: কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন সংরক্ষিত দুর্গম পাহাড়ি বনের অন্তত ৪০টি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার গাছপালা, সবজি ক্ষেত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দমকা হাওয়ায় আগুন দাবানলের আকৃতি ধারণ করে ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের পৌরসভার নূর আহমেদ গুনা থেকে নাইট্যংপাড়া এলাকার পাহাড়ি বনে এ অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দুপুর ২টা থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন নেভাতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করছে।
প্রশাসনিকভাবে আগুন লাগার ঘটনাটিকে নাশকতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এদিন সকালে পাহাড়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলতে শুরু করে। আগুন শতাধিক একরের বেশি বনাঞ্চলসহ লোকালয়ে দিকে দ্রুত ধাবিত হয়।
টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। তবে বনে আগুন বাতাসে দ্রুত দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে। নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিকেল ৪টা নাগাদ বনের কয়েকটি স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ছড়িয়ে পড়া আগুন যেন নতুন করে লোকালয়ের দিকে ধাবিত হতে না পারে সেদিকেই এখন বেশি নজর দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘নাশকতা’ বলে দাবি করেছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান। তিনি বলেন, ‘কারা এ আগুন লাগিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসুক, তারপর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
উল্লেখ্য, সেনা নিপীড়নের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েক মাসে নতুন করে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এবং বান্দরবান জেলার ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি জমিতেও অনেকেই ঘর বেঁধে দিন কাটাচ্ছে। এর মধ্যে ক’দিন আগেই বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ নিয়ে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি শিথিল হয়।