মোঃ অালী হাসান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের কালাইয়ে চালককে হত্যা করে অটোভ্যান
ছিনতাই মামলার পলাতক দুই আসামী গ্রেফতার ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়পুরহাট অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল বাহারের আদালতে দু’জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা পর জেল
হাজতে প্রেরণ করা হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের
১৭ জানুয়ারী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁনশিবগঞ্জ-বালুপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আলামিন ইসলাম ছনি (১৭) বিকাল ৫টার দিকে তার অটোভ্যান
নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরেনি। স্বজনেরা সারা রাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার গোপিনাথপুর (আপলাপাড়া) গ্রামের দক্ষিণ পাশে রাস্তার ধারে অল্প বয়সী একটি ছেলের লাশ পরে থাকার
খবর পরস্পরের মাধ্যমে জানতে পেরে আলামিনের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ শনাক্ত করে। এ বিষয়ে মৃত আলামিনের বড় বাবা (জেঠা) মো. শহিদুল
ইসলাম বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে কালাই থানার উপ- পরিদর্শক (এস আই) আনিছুর রহমান উন্নত প্রযুক্তির
মাধ্যমে আসামীদ্বয়কে শনাক্ত করার পর কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল লতিফ খানের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত সুজুন কুমার রায়, এসআই মজিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ কাজীতলা গ্রাম থেকে
হযরত আলীর ছেলে নাসের (২৫) ও রুবেলের ছেলে সাগর (২২) এবং কালাই উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শহিদুলের
ছেলে ইমরানকে (২২) গ্রেফতার করে। তবে কালাই থানার গ্রেফতারকৃত ইমরান মৃত আলামিনের হত্যার পরবর্তী তার ব্যবহারিত ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান ও
মোবাইল সেট নিজ দায়িত্বে রাখা এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নাসের ও সাগর স্বেচ্চায় হত্যার দায় স্বীকার করে। জয়পুরহাট অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল বাহারের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল লতিফ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খবর ৭১/ এস: