উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর ধান চাষ পরিদর্শন করলেন হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), ডিআইজি (এএন্ডডি), বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি, এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন। বিকালে আন্তঃজেলা ও জাতীয় মহিলা কাবাডি প্রতিযোগিতা ২০১৮-২০১৯ এর ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি থাকায় নড়াইলে সফরকালে নড়াইলে পুলিশ লাইন্সে ৩০ বছরের অনাবাদি জমিতে গরু, লাঙল, জোয়াল নিয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) কর্তৃক চাষকৃত ধান পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথির সহধর্মিনী, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর সহধর্মিনী নাহিদা আক্তার চৌধুরী সুমি, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মোঃ হাবিবুর রহমান, নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্ত্তুজার পিতা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম), নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ দাস প্রমুখ। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাব এর সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এসময় জেলা পুলিশের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ধান চাষ পরিদর্শনের সময় পুলিশ লাইন্সে সবজির চাষ ও পুকুরে মাছের চাষাবাদ দেখে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রশংসা করাকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল জেলায় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর মতো এমন পুলিশ অফিসারের প্রয়োজন। পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জমি চাষ করছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার),। পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জমি চাষ করছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। হাফহাতা গেঞ্জি, মাথায় গামছা বাঁধা, এক হাতে লাঙলের মুঠো, অপর হাতে গরু তাড়ানো লাঠি। গরু, লাঙল, জোয়াল নিয়ে চাষ করছেন জমি। দেখলে মনে হবে বোরো মৌসুমে কৃষক জমি চাষ করছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি হলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তাঁর দেখাদেখি পুলিশ লাইনসের অপর সদস্যসহ স্কুলের ছেলেমেয়েরাও নেমে পড়ে জমিতে। জমি তৈরিসহ ধানের চারা রোপণের কাজে সহায়তা করেন। গতকাল নড়াইলের পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জমিতে ধান রোপণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। পুলিশ লাইনের কোনো জমি যাতে অনাবাদি অবস্থায় না থাকে, সে জন্য নিজে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জমি চাষ করতে নেমে পড়েন। ২০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে। মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার),পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পেয়েছেন। পুলিশ লাইনের কর্মকর্তাসহ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তিন বিঘা জমিতে বিভিন্ন সবজিসহ ৪টি পুকুর পরিষ্কার করে নানা প্রজাতির মাছের চাষ করেন। জৈব সার তৈরি করে তা কাজে লাগান তিনি। উৎপাদিত ফসল এবং মাছ পুলিশ লাইনের মেসে থাকা সদস্যদের কম দামে খাওয়ানো হয়। পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জমিতে ধান রোপণ করছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জমিতে ধান রোপণ করছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার),। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন, ‘চাকরি জীবনে আমি অনেক স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু এমন লোক পাইনি।’ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. গোলাম নবী বলেন, ‘নড়াইলের বর্তমান পুলিশ সুপার একজন ভালো প্রশাসক। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ গঠনে তিনি আপসহীন। কিন্তু তিনি যে একজন ভালো কৃষক, তা জানতাম না।’ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম (বার), নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো কাজই ছোট নয়। আমি পুলিশ প্রশাসক হতে পারি, কিন্তু এ সমাজেরই একজন মানুষ।’ তিনি মনে করেন, দেশের উচ্চপদে যাঁরা চাকরি করেন তাঁরা দেশের মানুষের সেবক। কৃষিনির্ভর এই দেশে বেশির ভাগ মানুষই সমাজের তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন। চাকরি জীবনে প্রবেশ করার আগে হয়তো-বা বাপ-দাদার সঙ্গে অনেকেই এ ধরনের কাজ করে আজ উচ্চপদে চাকরি করছেন। কোনো কাজই ছোট নয়, এ প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তিনি নিজ হাতে হাল চাষ করেছেন। পুলিশ লাইনসের কোনো জমি অনাবাদি পড়ে থাকবে না।
খবর৭১/এসঃ