মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার চারটি আসনের মধ্যে আলোচিত হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনটি। কারণ এখানে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন সাবেক দুই মন্ত্রীপুত্র। একজন হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর (প্রয়াত) পুত্র শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী (নৌকা) ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএম এস কিবরিয়ার (প্রয়াত) পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া (ধানের শীষ)।শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে ড. রেজা কিবরিয়া তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এর আগে, বাহুবল উপজেলায় প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ইনশাআল্লাহ জয়ী হবো। আমি বিদেশে থাকলেও নবীগঞ্জ-বাহুবলের সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক।তিনি বলেন, আমি এলাকার মানুষের জন্য যা করতে চাই, তা কাজ করে প্রমাণ করব। আমি যদি একটা রাস্তা করি সে রাস্তায় শুধু বিএনপি যাবে না সব জনগণ চলাচল করবে। আমি রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করে যাব এবং আল্লাহ সঙ্গে থাকলে কোনো শক্তি নেই আমাকে পরাজিত করে। রেজা বলেন, আমার বাবা জীবিত থাকলে এখন আওয়ামী লীগ করতেন না। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল নবীগঞ্জ-বাহুবল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগ হবেন। বাবার জীবদ্দশায় তা সম্ভব হয়নি। বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য নবীগঞ্জ-বাহুবলে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছি। জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে দেশ বিদেশে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাব।তিনি বলেন, আমার দাদার বাড়ী নবীগঞ্জ এবং দাদীর বাবার বাড়ী বাহুবলে। জনগণ সুযোগ দিলে এলাকাকে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করব।তিনি আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওরা আমাদের ভয় পায়। আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার সময় ড. কামাল হোসেন, আ স ম রব ও আমার গাড়িবহরে হামলা করেছে, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আমি এহেন কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন হবে সবচেয়ে আলোচিত ও নজিরবিহীন। যা বিশ্বের বুকে ইতিহাস হয়ে থাকবে।দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, সেইভ থেকে আগামী ৩০ তারিখ ভোটের মাঠে যেতে হবে। যাতে সবাই সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে এজন্য নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।