খবর৭১ঃকুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে শিশু আকিফার মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- গঞ্জেরাজ বাসের মালিক জয়নাল মিয়া, চালক খোকন ও সুপারভাইজার ইউনুস মাস্টার।
আসামিদের সবার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহত আকিফার বারা হারুন উর রশিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আকিফার বাবা মেয়েকে হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা নিতে পুলিশের কাছে আবেদন করেন।
তবে সড়ক পরিবহন আইন পাস না হওয়ায় পুলিশ মামলাটি ৩০৪ ধারায় হত্যাচেষ্টার মামলা হিসেবে এজাহারভুক্ত করে।
শিশু আকিফার বাবা হারুন উর রশিদ বলেন, আমার মেয়েকে ওরা ইচ্ছা করে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করেছে। আমি পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলাম হত্যা মামলা নিতে। কিন্তু পুলিশ আমাকে নানাভাবে বুঝিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা ভিডিওটি দেখলেই বুঝতে পারবেন, বেপরোয়া বাসচালক আমার স্ত্রীকে তিনবার ধাক্কা দিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাক্কায় আমার মেয়ে তার মায়ের কোল থেকে পড়ে যায়নি। তৃতীয়বার ধাক্কা মারার পর আমার মেয়ে তার মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসিরউদ্দিন বলেন, শিশু আকিফার ঘটনায় ৩০৪ (হত্যাচেষ্টা) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। আসামি ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিরা গ্রেফতার হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন পাস না হওয়ায় মামলাটি ৩০২ (হত্যা) ধারায় নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চৌড়হাস মোড়ে দাড়িয়ে থাকা গঞ্জেরাজ নামের বাসের সামনে দিয়ে এক বছরের শিশুকন্যা আকিফাকে কোলে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মা রিনা বেগম।
হঠাৎ চালক বাসটি চালিয়ে রিনা বেগমকে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এতে মায়ের কোল থেকে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় শিশু আকিফা।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।
বুধবার বেলা ১১টায় শিশু আকিফার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন মারা যায় আকিফা।