উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের সেই সড়কের দিকে নড়াইল-১ আসনের এমপি মুক্তির দৃষ্টি,শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলে সড়ক মেরামত করছে শিশুরা। সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে নড়াইলের উপজেলা প্রশাসন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলে মেরামত করা সেই সড়ক দ্রুত সংস্কার করতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এমপি কবিরুল হক মুক্তি। নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তির বাবার নামের একটি সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় চাঁদা তুলে মেরামতে নামে উপজেলার কা নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। নড়াইলের‘কালিয়ায় চাঁদা তুলে সড়ক মেরামত করছে শিশুরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশে সারা দেশের মতো তোলপাড় হয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট মহলে। জানা গেছে, সংবাদ প্রকাশের পর সাবেক এমপি শহীদ এখলাছ উদ্দিনের নামের সড়কটির বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে তা দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি। বিকালে বিষয়টি সম্পর্কে,আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান নিশ্চিত করেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা। প্রসঙ্গত, নড়াইলের বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের বারইপাড়া-কা নপুর সড়কটি ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এমপি মুক্তির বাবা শহীদ এখলাছউদ্দিনের নামে নামকরণ করা হয়। ওই বছরই সড়কটি কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে পাকাকরণ করা হয়। কিন্তু গত দুই বছরের মধ্যে রাস্তাটির কার্পেটিং উঠেগিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ফেরিঘাটসংলগ্ন সড়কের অংশ থেকে কা নপুর স্লুইসগেট অভিমুখে প্রায় ৫০০ ফুট সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে পানি-কাদায় দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
এটি একটি জন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক পথচারী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করে থাকেন। তাই স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের ভরসায় বসে না থেকে কা নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজে নেমে পড়েছে। বিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কের মাঝে বে বসিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানগাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের কাছ থেকে ৫-১০ টাকা করে চাঁদা তুলে নিজেরাই ইটভাঙ্গা হাতুড়ি নিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘাম ঝরিয়ে নিরলসভাবে সড়ক মেরামতের কাজ করে চলেছে। নিজেদের এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য রাস্তাটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেয়ায় অবশেষে শিশুরাই স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি মেরামতের কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি,আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান ‘সড়কটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই সড়কটির মেরামত করার ব্যবস্থা করবে। তবে প্রাইমারি স্কুলের কোমলমতি শিশুরা সড়কটি মেরামত করেছে,এটা আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক তাদের দিয়ে এটা করার সুযোগ দিয়ে অন্যায় করেছেন। এটা করা তার (প্রধান শিক্ষক) ঠিক হয়নি। শিশুদের পড়াশোনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে শিশুদের দিয়ে এ সড়ক মেরামত করেছেন। সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে।
খবর ৭১/ইঃ