মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখি রোববার রাতে ধর্ষণ করেছে সুজন নামের এক যুবক।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের এক গরীব পরিবারের মেয়ে ও খোয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখি চরমুগরিয়া এলাকায় এক আত্মীর বাড়িতে এনে রোববার রাতে ধর্ষণ করেছে সুজন নামের এক যুবক। ধর্ষক যুবকের বাড়ি মস্তফাপুর ইউনিয়নের ঝিকরহাটি গ্রামে। ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎধীন রয়েছে।
ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, মস্তফাপুর ইউনিয়নের ঝিকরহাটি গ্রামের সুজন আমার বাড়ির পাশে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। সেখান থেকে সুজনের সাথে পরিচয় হয়। এরপরে সুজন তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়। রোববার বিকালে বিয়ের কথা বলে আমাকে বাড়ি থেকে চরমুগরিয়া ওর এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে রাতে ধর্ষণ করে আমাকে রেখে পালিয়ে যায়।
কলেজ ছাত্রীর দাদি বলেন, আমার নাতনিকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে সুজন নামের এক যুবক। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র বলেন, একটি মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মহিলা ডাক্তার তার শরীরের আলমত সংগ্রহ করেছে। তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধর্ষণ হয়েছে কি না তা মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার পর ঐ এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতে আসেনি। মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর ৭১/ এস: