ভারতীয় ভিসা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

0
19

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসাপ্রক্রিয়া কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিসা জটিলতা আমরা তৈরি করিনি। ভিসা একটি সার্বভৌম অধিকার। কোনো দেশ যদি কাউকে বা কোনো গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয়– তবে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না।

এটি তাদের সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করব, তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের জানাবেন বা কার্যকলাপ বাড়াবেন, যাতে গমনপ্রত্যাশীরা ভিসা পেতে পারে।’

ভারত ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিবিসিতে দেওয়া বক্তব্যকে সমর্থন দেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন এটা কিন্তু একেবারে আমাদের অবস্থান।

আমি বিভিন্ন সময়ে বলে আসছি ভালো কাজের সম্পর্ক চাই। আর এটা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে করতে চাই।’

বাংলাদেশ থেকে ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, প্রজনন স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে ভারতে যান অনেক বাংলাদেশি নাগরিক। প্রতিবছর কত লোক ভারতে চিকিৎসা নিতে যায় সেটির সঠিক পরিসংখ্যান বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাওয়া যায়নি।

তবে ভারত সরকারের তথ্যের বরাতে দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশিদের জন্য প্রায় ১৬ লাখ ভিসা ইস্যু করেছিল ভারত। এর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ছিল মেডিক্যাল ভিসা। অনেকে ভ্রমণ ভিসায় গিয়েও ভারতে চিকিৎসা করিয়ে আসে। ফলে চিকিৎসা নেওয়া বাংলাদেশিদের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হওয়ারই কথা।

২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৫ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের জন্য ৮ লাখ ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল, যার মধ্যে মেডিক্যাল ভিসা ছিল ২ লাখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সরকার পতন পরবর্তী প্রেক্ষাপটে মেডিক্যাল বা জরুরি ভিসা বাদে অন্য কোনো ভিসা দিচ্ছে না ভারত সরকার। মেডিক্যাল ভিসাও দেওয়া হচ্ছে সীমিত আকারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here