খবর ৭১: কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটির পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও পাহাড় ধসে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইতিমধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘীনাল সড়কের ১৬ কিলোমিটার দুই টিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, রাতে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে একটি গাছসহ পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। খবর পেয়েই সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি সড়ক জনপদ বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, এই সড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১০টি পয়েন্টে পাহাড় ধসের ঝুঁকি আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা টানিয়ে স্থানীয় ও সড়কে যাতায়াতকারীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে রাঙামাটি শহরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে আনতে গতকাল থেকে আজ সারাদিন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন। জেলা শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের এনে রাখা হচ্ছে। অতিভারী বর্ষণের ফলে ইতিমধ্যেই রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে চার হাজার পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার সদস্য জীবনের ঝূঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। এসব নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে আসতে পুরো শহরে মাইকিংয়ের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকসহ ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী।