আকাশ প্রতিরক্ষা বিষয়ে নতুন যে পরিকল্পনা নিচ্ছে রাশিয়া

0
207

খবর৭১::ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন তথ্য ফাঁসের পর রাশিয়া নিজেদের বিমানবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদানের ঘটনায় নিজেদের বিমানবাহিনীর সক্ষমতাও জোরদার করা হবে।

সোমবার রাশিয়ার বিমানবাহিনীর কমান্ডার রুশ বিমানবাহিনীর উপকমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আন্দ্রেই ডেমিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। মস্কো এটিকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে দাবি করে আসছে। যুদ্ধ দ্বিতীয় বছরে গড়ানোর পর তা ধীরগতির কামান যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে।

আন্দ্রেই ডেমিন বলেন, ইউক্রেনের হামলার মুখে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাবাহিনীকে বেশ কিছু সংখ্যক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া ৫০টি ভ্রাম্যমাণ রাডার স্টেশন, ২৪ ঘণ্টা ধরে আগাম সতর্ক সংকেত ও নিয়ন্ত্রিত উড়োজাহাজ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের আশেপাশের অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান-বিধ্বংসী অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।

জেনারেল আন্দ্রেই ডেমিন, ইউক্রেনে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার জন্য। রাশিয়া আরএলকে-এমসি ড্রোন-বিধ্বংসী ব্যবস্থার উৎপাদন বাড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই সংস্কার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে। এসব পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হবে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে সশস্ত্রবাহিনীর বিকাশ।

ডেমিন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত থাকা ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের ফলে রুশ সেনাবাহিনী নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদার করবে।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্রমবর্ধমান হুমকির মাত্রা অনুসারে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমের সীমান্ত রক্ষার মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here