ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী করলা

0
160

খবর ৭১: তেতো স্বাদের কারণে অনেকে করলা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। নিয়মিত করলা খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়াময় হয়। সবজির মতো এই গাছের পাতা, মুলও উপকারী।

এই সবজি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

ডায়াবেটিস: করলায় ইনসুলিন রাইক ফ্যাক্টর অর্থাৎ প্ল্যান্ট ইনসুলিন থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিশেষ করে টাইপ -২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা বেশ উপকারী।

পাইলস: সকালে খালি পেটে করলা পাতার রস খেলে পাইলস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সোরিয়াসিস: এক কাপ করলার রসের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস খালি পেটে একটানা ছয় মাস খেলে চুলকানি কমে যায়।

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে : করলা গাছের মূলের পেষ্ট এক চা চামচ সম পরিমাণ মধু ও তুলসি পাতার রসের সঙ্গে মিশিয়ে টানা এক মাস খেলে অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ভালো হয়।

কলেরা: কলেরা আক্রান্ত ব্যক্তি করলা পাতার রস খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে কতটুকু খাবেন তা ডাক্তার ও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : করলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিদিন করলা সিদ্ধ করে পানি খেতে পারেন। করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যাতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে।

কিডনিতে পাথর: করলা কিডনিতে জমা পাথরগুলি প্রাকৃতিকভাবে ভাঙতে সাহায্য করতে পারে। করলা উচ্চ অ্যাসিড কমায়।

কোলেস্টেরল কমায়: করলা বিপজ্জনক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ত্বকের সুরক্ষায়: করলা থেকে তৈরি খাবার বা রস ত্বকের উপকার করে। যদি নিয়মিত খাওয়া হয়, করলা ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তাছাড়া করলাকে ব্রণ, সোরিয়াসিস, এবং একজিমা চিকিৎসার সহায়ক বলা হয়।।

ওজন হ্রাস করে : করলা ওজন কমাতে বা ওজন ধরে রাখতে সাহায্যে করে।

ব্রণ: রক্ত শুদ্ধ করার এবং বিষমুক্ত করার জন্য করলা খুব ভালো। এটি ব্রণের ঝুঁকি কমায় এবং অভ্যন্তরীণভাবে শরীর পরিষ্কার করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here