এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘মারবার্গ’, বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর আশঙ্কা

0
185

খবর৭১: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কাটতে না কাটতেই আরেকটি প্রাণঘাতী ভাইরাস ‘মারবার্গ’ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও-হু)।

আফ্রিকার দেশ ‘ইকুয়াটোরিয়াল গিনি’তে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি পাওয়া গেছে এবং তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে এই ভাইরাসের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে আরও ১৬ জনের দেহে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক। ভাইরাসটি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সংক্রমণ অঞ্চলটিতে ইতোমধ্যে ২০০ জন সন্দেহভাজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে প্রথম ধরা পড়ে ভাইরাসটি। গত বছরের জুলাইয়ে ঘানায় ভাইরাসটিতে আক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ১৯৬৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভাইরাসটির আক্রমণে ৪৭৪ জন রোগীর মধ্যে ৩৭৯ জনই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ।

বাদুড় থেকে আসা ‘মারবার্গ ভাইরাস’ ইবোলার মতোই মারাত্মক আকার ধারণ করে। ইবোলার তুলনায় অধিক প্রাণঘাতী। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি। এটি ইবোলার থেকেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।

‘মারবার্গ ভাইরাস’র কিছু লক্ষণ রয়েছে। সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, পায়খানা, বমি-বমি ভাব, প্রচণ্ড জ্বর, পেশিতে ব্যথা থাকে। এছাড়াও এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো। হাতে পায়ে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে রক্তক্ষরণের লক্ষণও দেখা দেয়। ইবোলার মতো মারবার্গ একটি ফিলোভাইরাস। ফলে বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়।

অ্যাঙ্গোলা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ঘানা, গিনি, কেনিয়া, উগান্ডা এবং জিম্বাবুয়েতে অতীতে এই ভাইরাসের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here