নিখোঁজ শিক্ষার্থী জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ সেপটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার:প্রেমিক আটক

0
172

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : নিখোঁজের ৮দিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বুরুজবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেপটি ট্যাংকির ভিতর থেকে জেসমিন আক্তার(১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব) সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল ৩ টার সময় নাভারন বুরুজবাগান গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আহসান হাবিব অঙ্কুরের বাড়ির সেপটি ট্যাংকির ভিতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। চৌকষ র‌্যাব সদস্যের সন্দেহভাজন ঘাতক আটককৃত আসামী নিহতের সহপাঠি আহসান হাবিবের তথ্যের ভিত্তিতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান।
নিহত জেসমিন আক্তার সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাজিরহাট এলাকার কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। সে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

খুলনা র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রী জেসমিন আক্তার নিখোঁজের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে তার স্বীকারোক্তিতে তাদের নিজ বাড়ীর সেপটি ট্যাংকির ভিতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেসমিন আক্তার যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করা অবস্থায় একই ইনস্টিটিউটের সহপাঠি আহসান হাবিব অঙ্কুরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হঠাৎ ৮ দিন পূর্বে তাদের মেয়ে নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়। অবশেষে অনেক খোজ খবরের পর শার্শা থানার দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামে তার প্রেমিক অঙ্কুরের বাড়ির সেপটি ট্যাংকির ভিতর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশ।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক অবনতি ঘটলে আসামী আহসান হাবিব অঙ্কুর সূকৌশলে জেসমিনকে তার বাসায় ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করে সেপটি ট্যাংকিতে ফেলে রাখে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আকিকুর রহমান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তারের দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসাতে আছে। এ সময় চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির লাশ খুঁজে পায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here