খবর৭১ঃ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে মাত্র ২৪ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাসের অপ্রতিরোধ্য জুটিতে উইকেট হারাতে হয়নি স্বাগতিকদের। দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে দিনটা নিজেদের করে নেন এই দুই ব্যাটার।
প্রথম দিনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তুলতে পেরেছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। দ্বিতীয় দিনের খেলায় আবারও ব্যাট করতে নামবেন লিটন-মুশফিক।
চট্টগ্রাম টেস্টটি ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুকে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু ব্যাট হাতে শুরুটা একদমই বাজে হয় স্বাগতিকদের।
দুই লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা এবং আসিথা ফার্নান্দোর বোলিং তোপে মাত্র সাত ওভার খেলতে না খেলতেই মূল্যবান পাঁচটি উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং তামিম ইকবালের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। কাসুন রাজিথার বলে জয় এবং ফার্নান্দোর বলে ফেরেন তামিম।
এরপর ব্যাট করতে নেমে আউট হতে বেশিক্ষণ সময় নেননি দলনেতা মুমিনুল হক ও শান্ত হোসেন শান্তরা। দুই চারে ৯ রানে মুমিনুল এবং এক চারে ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর ক্রিজে নেমে মাত্র ১ বল খেলতে পেরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
মাত্র ২৪ রানে পাঁচ উইকেট হারালে সবাই হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন যে, এই বুঝি লজ্জার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দল। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার মুখের দিকে বুড়ো আঙুল দেখাতে থাকেন ভিন্ন ফরম্যাটে দেশের দুই উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস।
প্রথম দিনের শেষ বল পর্যন্ত টিকে থাকেন এই দুই ডানহাতি ব্যাটার। আর দুজনই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়েছেন দুটি অনন্য রেকর্ড। মুশফিক-লিটনের অপ্রতিরোধ্য ২৫৩ রানের জুটিটি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ।
২২১ বলে ১৩৫ রানে লিটন কুমার দাস অপরাজিত রয়েছেন। তার এই ইনিংসটি ১৬টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো। অন্যদিকে ২৫২ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার ইনিংসটি ১৩টি চারে সাজানো।
এদিকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন কাসুন রাজিথা। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো।