মিয়ানমারের সেনাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা

0
396

খবর ৭১:  সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আগে দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বার্তা সংস্থা এএফপি-তে প্রকাশিত এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।

সেনাপ্রধানের সভাপতিত্বে অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, বর্বরতা ও নিপীড়ন মিয়ানমারের সামরিক শাসনের ট্রেডমার্ক হয়ে উঠেছে। মার্কিন রাজস্ব বিভাগ চলমান সহিংসতা ও দমন-পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওয়াশিংটন দুজন সামরিক কমান্ডার, একটি পদাতিক ডিভিশনের পাশাপাশি তিনজন ব্যবসায়ী এবং চারটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। লন্ডনের পক্ষ থেকে নতুন বিমানবাহিনীর প্রধান এবং বেলারুশের অনারারি কনসাল ও একজন ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সংস্থাগুলোও যুক্তরাজ্যের তালিকায় এসেছে।

যুক্তরাজ্যের এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া জনগণের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান বন্ধ করার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। যাঁরা সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে যা সারা দেশে এর অপব্যবহারের সুবিধা করে দেয়, তাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে।

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল কো কো ও, মেজর জেনারেল জাই হেইন ও তার ৬৬ পদাতিক বাহিনী।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ বলছে, ওই পদাতিক বাহিনী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালায়। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে আটক, অত্যাচার, হত্যা ছাড়াও পুড়িয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে এমন তিন ব্যক্তি ও সংস্থাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। এর আগে এ ধরনের অভিযোগ দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ইন-চিফ হতুন অং এবং বিমানবাহিনীকে সহায়তাকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বেলারুশের অনারারি কনসাল অং মোয়ে মিন্ট ও তার সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

এর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে, ওয়াশিংটনের এমন ঘোষণার কয়েক দিন পরেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দিল দুই দেশ।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের মুখে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম সে দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here