গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে পেট্রোবাংলার প্রস্তাব সন্তোষজনক নয়’

0
297

খবর৭১ঃ গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে পেট্রোবাংলার দেওয়া প্রস্তাবটি অযৌক্তিক ও বাস্তবতার নিরিখে সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। তিনি বলেছেন, পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাবটি দিয়েছে তা অযৌক্তিক। বাস্তবতার ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব সন্তোষজনক নয়। আমরা দাম না বাড়িয়ে অন্য কোনো বিকল্প পেলে সেটাই করব। আর না পেলে যত টাকা দাম না বাড়ালেই নয় এবং ভোক্তার বিষয়টি খেয়াল করে বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।

গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিন পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে প্রস্তাব, সঞ্চালন কোম্পানির চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব এবং দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করেছে বিইআরসি।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জালালাবাদ এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রস্তাবটি ন্যায্যতা পাওয়ার জন্য পোস্ট শুনানিতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। যদি দেখি আন্তর্জাতিকভাবে কোনো বিকল্প রয়েছে, তাহলে সেটা গ্রহণ করা হবে। কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছে।

আব্দুল জলিল বলেন, ‘ফোজদারি আইনে বলা হয়েছে, আসামিকে নির্দোষ ধরে বিচার শুরু করবেন বিচারক, দোষ প্রমাণ করার দায়িত্ব বাদী পক্ষের। এখানেও ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব লাইসেন্সির (গ্যাস কোম্পানির)। এখানে আলোচনার ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ শেষে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। বিইআরসি আইনি দায়িত্ব পালন করছে। অবশ্যই যৌক্তিকতা বিচার করেই সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।’

প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিষয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলো যেভাবে কাজ করছে তাতে অনেক বছর লেগে যাবে। সরকার নীতিমালা করে দিয়েছে খোলা মার্কেট থেকে কেনার জন্য। আল্লাহর ওয়াস্তে উন্মুক্ত করে দেন। গ্রাহকরা নিজে কিনে নেবে।’

আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই শুনানির ওপর লিখিত মতামত দেওয়া যাবে। এরপর কমিশন যাচাই বাছাই করে শুনানির সময় থেকে বিইআরসির আইন অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি আদেশ দেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here