খবর৭১ঃ ঢালিউডের তুমুল জনপ্রিয় অ্যাকশন হিরো মাসুম পারভেজ রুবেল। সেই জনপ্রিয়তার কারণেই এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ১৯১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু রুবেলের ইচ্ছা, এই পদে নায়ক রিয়াজ বসুক। যিনি এবার কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
তবে রুবেল চান, রিয়াজই পদটিতে দায়িত্ব পালন করুক। অভিনেতা তার এমন ইচ্ছার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার পদটি রিয়াজের জন্য ছেড়ে যেতে চাই। তার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। সে আমার ছোট ভাইয়ের মতো। সে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু সফরের সঙ্গী ছিল। রিয়াজ যদি এ পদে বসে, তবে চলচ্চিত্রের জন্য সুখবরই আসবে।’
রুবেলের এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে কি তিনি পদত্যাগ করতে চলেছেন? উত্তর হলো, হ্যা। এই তথ্যও গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রুবেল নিজে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুই-এক দিনের মধ্যেই তিনি শিল্পী সমিতির সহসভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন।
নায়কের কথায়, ‘এ বছর আমার বেশ কিছু কাজ আছে। আমি ওমরাহ পালনে যাব। এছাড়া সারাদেশব্যপী কারাতে প্রশিক্ষণ শেষ করাতে হবে। প্রায় ৩০০ উপজেলায় কাজ করতে হবে। সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকব। এর মধ্যে সমিতিকে সময় দেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তাই যত শিগগির সম্ভব পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলও প্রার্থী হয়েছিলেন। ২১৯ ভোট পেয়ে তিনিও জিতেছেন। অন্যদিকে, কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে একই পদে প্রার্থী হয়েছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ডি এ তায়েব। দুজনেই হেরেছেন। এর মধ্যে রিয়াজ পেয়েছেন ১৫৬ ভোট এবং ডি এ তায়েব ১১২ ভোট।
কথামতো রুবেল যদি পদত্যাগ করেন, তবে সহসভাপতি পদে বসার ক্ষেত্রে রিয়াজই এগিয়ে থাকবেন। কারণ, এই পদে পরাজিত দুই প্রার্থীর মধ্যে তিনিই বেশি ভোট পেয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী পদে বিজয়ী চিত্রনায়িকা রোজিনা। এদিন শিল্পী সমিতির ই-মেইলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। কার্যনির্বাহী পদে এবার রোজিনা পেয়েছেন ১৮৫ ভোট। তিনি পদত্যাগ করায় এই পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পরাজিত প্রার্থী নানা শাহর নাম শোনা যাচ্ছে।
এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, শুধু রোজিনা বা রুবেল নয়, মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে আরও কয়েকজন বিজয়ী সদস্য পদত্যাগ করতে পারেন। এই প্যানেল থেকে এবার বিভিন্ন পদে আরও বিজয়ী হয়েছেন- ডিপজল (সহসভাপতি), জায়েদ খান (সাধারণ সম্পাদক), জয় চৌধুরী (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক)। এছাড়া কার্যনির্বাহী পদে জিতেছেন- অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, মৌসুমী, সূচরিতা ও চু্ন্নু।
এর মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচনের জন্য গঠিত আপিল বোর্ড। তাদের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক পদে বিপরীত প্যানেলের নিপুণ আক্তারকে এবং কার্যনির্বাহী পদে চুন্নুর জায়গায় তারই প্যানেলের নাদির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সভাপতিসহ নিপুণরা ইতোমধ্যে শপথও নিয়েছেন।