দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট করে জেতাদের আর দলে নয়’

0
304
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট করে জেতাদের আর দলে নয়’

খবর৭১ঃ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের আর দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এমনকি ভোটে তাদের জয় পরাজয় যাই হোক ভবিষ্যতে দল থেকে তাদের মনোনয়নও রুদ্ধ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

রবিবার সকালে নিজ সরকারি বাসভবন থেকে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা জয়ী কিংবা পরাজিত হোক পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না। এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।

গতকাল দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এতে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীগণ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয়ী সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির বিজয়।

তিনি এ বিজয়কে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার বিজয় বলেও মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে গতকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিলো আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৬০ থেকে ৭০ ভাগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, গতকালের নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অস্বচ্ছ রাজনীতির কারণে ভোটের রাজনীতি থেকে বিএনপি দিন দিন পিছিয়ে পড়েছে। তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে। যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।

বিএনপি নেতারা বলেছেন ভোটকেন্দ্র নাকি সরকারি দলের দখলে ছিলো, এই অভিযোগ প্রসংগে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন তাহলে তাদের ৪ জন প্রার্থী কিভাবে বিজয়ী হলেন? তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করে। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে। ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯ টিতে ইভিএম এবং ৩১ টিতে ব্যালটে ভোট হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ছিলো না কোনো জড়তা। ইভিএমে ভোট প্রদানে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে।

‘বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি লেগেই থাকতো। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে তা দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদেরকে ভবিষ্যতে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করারও নির্দেশ দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here