পদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবে মেয়র-কাউন্সিলররা

0
284
কাল ১০ উপজেলা ও পাঁচ পৌরসভার ভোট

খবর৭১ঃ

পদে থেকেই পৌরসভার বিভিন্ন পদে নির্বাচন করতে পারবেন বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলররা। তবে অন্য কোনো স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্যরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন না। স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীর ক্ষেত্রে সমর্থনসূচক ১০০ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হবে। এছাড়া এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা স্বীয় পদে থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েই পৌর ভোট করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে এসংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা বা অযোগ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট করে গতকাল মঙ্গলবার ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত পরিপত্রটি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। এতে নির্বাচনি আইন, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।

পরিপত্রে ফৌজদারি মামলায় সাজার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, কোনো প্রার্থী ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং ঐ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল হলে এবং আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বা সাজা স্থগিত না করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলেও তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন বা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামিন পেলেও অযোগ্য হবেন, অর্থাত্ সংশ্লিষ্ট সাজা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। আর এমন দণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত অযোগ্য হবেন।

স্বপদে থেকে নির্বাচনের বিষয়ে বলা হয়, শুধু পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলররা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটারদের সমর্থনযুক্ত তালিকার বিষয়ে বলা হয়, এর আগে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন এমন কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে নতুনদের ক্ষেত্রে ১০০ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দিতে হবে। কোনো সমবায় সমিতি এবং সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন না। তবে পৌরসভার সঙ্গে সম্পৃক্ত চুক্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য হবেন। এছাড়া বাস্তবায়নাধীন বা চলমান প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকাদারেরা নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। নির্বাচনি তপশিল ঘোষণার পর ঠিকাদারি হস্তান্তর করলে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পরিবর্তন করলেও সংশ্লিষ্ট পৌরসভা নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। তবে অনেক আগে কাজ করতেন কিন্তু বর্তমানে করেন না এমন ক্ষেত্রে অযোগ্য হবেন না।

এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বলা হয়, এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা স্বীয় পদে থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার দরখাস্ত দাখিল করলেই তা ইস্তফা বলে বিবেচিত হবে না। পেনশনভুক্তরা নির্বাচনে যোগ্য হবেন। তবে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিলে তিন বছর অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না। পিআরএল চাকরির অংশ নয় বিধায় পিআরএলে থাকলে নির্বাচনে যোগ্য হবেন।

সারা দেশে ৩২৯টি পৌরসভায় ধাপে ধাপে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৫ পৌরসভায়, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায়, ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ভোট হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ভোটের সম্ভাবনা আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here