শহরের উমদা মিয়া ও কিবরিয়া বেইলি ব্রীজ চরম ঝুঁকিপূর্ণ ॥ ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা

0
319
শহরের উমদা মিয়া ও কিবরিয়া বেইলি ব্রীজ চরম ঝুঁকিপূর্ণ ॥ ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর উপর নির্মিত দুটি বেইলি ব্রীজ এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এতে করে যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শহরবাসি। তবে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ব্রীজ দুটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষদের। কিন্তু সড়ক বিভাগের সেই একই কথা, ‘প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই পুণঃনির্মাণের টেন্ডার হবে।’ জানা যায়, শহরের পূর্ব-উত্তর দিকে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর ওপর ১৯৮৪ সালে নির্মিত হয় উমদা মিয়া বেইলি ব্রীজ। হবিগঞ্জ জেলা শহরের সাথে বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলাসহ সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সাথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম জনপ্রিয় সড়ক এটি। ১ বছর আগে এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দেয় সড়ক বিভাগ। বিকল্প হিসেবে কাছেই এমএ রব ব্রীজ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। অবস্থানগত সুবিধার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এ সেতু দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছেন কয়েক হাজার মানুষ।

এই সেতুর পূর্ব পাশ দিয়ে ২০০২ সালে নির্মাণ করা হয় কিবরিয়া বেইলি ব্রীজ। বহুদিন সংস্কার না হওয়ায় পিলার ও স্ল্যাব নড়বড়ে হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এ সেতুটিও। এ ব্রীজ দিয়েও চলাচল করছে সিলেটগামী বিভিন্ন যানবাহন। পাশাপাশি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন বিদ্যাপিঠ শচীন্দ্র কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ ব্রীজ দিয়ে যাতায়ত করেন। এমতাবস্থায় যে কোন সময় ব্রীজ দুটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী।

চালকদের দাবী, এখনই যদি ব্রীজ দুইটি পুণঃনির্মাণ না করা হয় তা হলে যে কোন সময় ভাড়ি যানবাহন উঠলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এতে প্রাণহানিও হতে পারে। তাই দ্রুত ব্রীজ দুটি মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। পথচারী নজরুল ইসলাম জানান, সবসময় এ ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করেন তিনি। আতঙ্কে থাকি কখন জানি দূর্ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলে রাব্বি রাসেল জানান, শহরের সাথে যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হল এ দুটি বেইলি ব্রীজ। ব্রীজ দুটি ঝুকিপূর্ণ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। মালামাল নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত ব্রীজটি মেরামত করা হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাবান মিয়া জানান, ব্রীজ দুটি কিছুদিন পরপরই মেরামত করা হয়। কিন্তু পরিকল্পিত কাজ না হওয়ায় কিছু দিন পর পরই ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। তাই দরকার টেকসই সংস্কার অথবা পুণঃনির্মান।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহমদ বলেন, ‘ব্রীজ দুইটি পুণঃনির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। খুব শিগগিরই টেন্ডার আহবান করে প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু হবে।’ কিন্তু সড়ক বিভাগ থেকে কয়েক বছর ধরে শুনানো হচ্ছে একই আশ্বাসের বানী। বার-বার পেটানো হচ্ছে একই ঢোল।

হবিগঞ্জ- ৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, ‘অন্যসব ব্রীজের তুলনায় এ ব্রীজ দুটি আরো টেকসই করে নির্মাণ করা হবে। এ জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশাকরি দ্রুত পুণঃনির্মাণ শুরু হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here