টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত

0
465

খবর৭১ঃকক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বরতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়। পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পাচারকারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

তাদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কক্সবাজারে রেফার করেন। কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার পথে তারা মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি গুলির খোসা ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত দুইজন হলেন- নজির আহমদ (৩৩) ও গিয়াস উদ্দিন। নজির টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি ডাকাত আবদুল হাকিম ডাকাতের ছোট ভাই। আর গিয়াস উদ্দিন হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার হাজি জাকরিয়া ছেলে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন-এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরসাদুল ও বেলাল উদ্দিন।

অন্যদিকে টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও দুই জন নিহত হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় চোরাকারবারিরা। বিজিবিও এসময় পাল্টা গুলি চালায়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশ দুটি পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here