চৌগাছায় আওয়ামীলীগে বিভাজন , বিএনপি জোটের মধ্যে বিরাজ করছে অজানা আতংক

0
246

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বেজে উঠেছে অনেক আগেই। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সাধারন ভোটারদের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে আনন্দভাব। নিরাপদ ভোটাধিকার প্রয়োগে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। সাধারণ ভোটারের মাঝে যখন উৎসব ভাব তখন সরকারী দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নিরবতা। গ্রুপিং রাজনীতিই এরজন্য দায়ি বলে মনে করছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে মামলা হামলায় জর্জরিত বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে অজানা এক আতংক। তবে সব ভয় ভীতি উর্দ্ধে রেখে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
সূত্র জানায়, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছাতে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী তোড়জোড়। শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে পাড়া মহল্লার প্রতিটি স্থানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা সমালোচনা। সাধারণ ভোটারদের মাঝে যখন চলছে নানা আলোচনা, ঠিক সেই সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কর্মী সমার্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নিরাবতা। মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়ার আক্ষেপে এই নিরাবতা বলে মনে করছেন অনেকে। সূত্র জানায়, আসন্ন নির্বাচনে এই আসনে নৌকার মাঝি হয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাসির উদ্দিন। বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনিরসহ অন্তত ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন শুধু চৌগাছারই। সাবেক সেনা কর্মকর্তার মনোনয়ন নিশ্চিতের পর অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী এসএম হাবিবুর রহমান ও এবিএম আহসানুল হক আহসানসহ তাদের অনুসারীরা ইতোমধ্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তার সাথে একাতত্বা প্রকাশ করেছেন। পক্ষান্তরে বর্তমান এমপি ও তার অনুসারীরা আজও এক টেবিলে একত্রিত হতে পারেনি। এরফলে শহর ও শহরতলীর প্রতিটি জায়গায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা কোন দিকে যাবে কার পিছে থাকবে এই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে দিন পার করছেন। দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর চৌগাছা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এসব সভায় দলের সব শ্রেনীর নেতাকর্মী একত্রিত করা যায়নি। উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সভা হলে সেখানে দলের সভাপতিসহ তার অনুসারীরা উপস্থিত থাকেন, অপরদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে সভা হলে সেখানে এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকেন। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা মনে করেন আগামী নির্বাচনে আগে এর একটি সুন্দর সুরাহ হওয়া জুরুরী, অন্যথায় নৌকার জয় ছিনিয়ে আনা কষ্ট হবে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কিছুটা মান অভিমান চলছে। তবে আমার বিশ্বাস নেত্রীর নির্দেশে শেষ সময়ে হলেও সকলে এক কাতারে শামিল হবেন এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেই তারা ঘরে ফিরবেন। এদিকে দীর্ঘ একযুগ ধরে মামলা হামলায় জর্জরিত বিএনপি জোটের শতশত নেতাকর্মী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে কিন্তু ভীতি কাটেনি। জোটের সব শ্রেনীর নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে অজানা আতংক। তবে সব ধরনের ভয় ভীতি উপেক্ষা করে সকলের অংশ গ্রহনে সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় একটি জমজমাট নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here