ছেলের চুরির দায়ে মা-বোনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে জখম

0
254

খবর৭১ঃপিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ছেলের চুরির দায়ে তার মা ও বোনকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে পিটিয়ে জখম করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে।

গত রোববার সকালে নলবুনিয়া গ্রামের কবির শেখের স্ত্রী হাওয়া বেগম (৩৫) ও কলেজপড়ুয়া মেয়ে সেলিনাকে প্রকাশ্যে মারধর করে আহত করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ইন্দুরকানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাওয়া বেগম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে হাওয়া বেগমের ছেলে জি হায়দার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির প্রতিবেশী মন্টুর বাড়ি থেকে কয়েক বন্ধু মিলে কিছু মালামাল চুরি করে। সেই রাতেই হাওয়া বেগম ছেলে সাব্বিরকে চাপ দিলে সে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।

পরে ছেলে সাব্বিরের কাছে থাকা চোরাই মালামাল মন্টুদের ফেরত দিতে যান মা হাওয়া বেগম। কিন্তু মন্টু ও তার লোকজন ফেরত দেয়া মালামাল নিতে অস্বীকার করে। আরও বেশি মালামাল ছিল বলে মন্টুরা দাবি করে।

এ ঘটনায় হাওয়া ও মন্টুদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে রোববার সকালে বাড়ির সামনের মালেকের দোকানে বসে সাব্বিরের বাবা কবির শেখের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় মন্টুর লোকজনের। এ সময় হাওয়া বেগম তার স্বামী কবিরকে ডাকতে যান। সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল ইসলাম ও চৌকিদার খলিল উপস্থিত ছিলেন।

তাদের উপস্থিতিতে মন্টু, রুবেল, বিউটি, খাদিজা মিলে হাওয়া বেগম ও তার মেয়ে সেলিনাকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

ইউপি সদস্য এনামুল ইসলাম (আবুল হোসেন) দ্বন্দ্ব নিরসন না করে উল্টো স্বামী কবিরকে জাপটে ধরে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ হাওয়া বেগমের।

তবে এ ঘটনায় ইউপি সদস্য এনামুল ইসলাম জানান, আমি কবিরকে আটকে রাখি নাই। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। মারামারির ঘটনা সত্য।

হাওয়া বেগমের শরীরে অন্তত ৫০টি স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কোথাও অভিযোগ বা মামলা করলে সেলিনাকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় মন্টুর লোকজন বলে অভিযোগ করেন হাওয়া। ইন্দুরকানী থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, হাওয়া বেগম সোমবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here