খবর৭১ঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবির আন্দোলনের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.আবদুল্লাহ-আল-মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ড.আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছি এবং ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে চলমান এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও স্বাভাবিক চলাফেরা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজ নিজ অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হচ্ছে।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘যদি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস দেওয়া হয় যে এমন অসদাচরণের পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না তবেই আমরা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমে ফিরে যাব।’
আজ সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপাচার্য তার অফিসে প্রবেশ করার পর পরই শিক্ষার্থীরা সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও তালা দেয়।
শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিগুলো হলো- আবাসিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা প্রদান, আগের ব্যাকলগ প্রথা পুনর্বহাল, মানোন্নয়ন পরীক্ষার ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ করা, ব্যাকলগ ও ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি (প্রবেশপত্রসহ) ৩০০ টাকা করা, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের জন্য বাৎসরিক ফি বাতিল করা, স্নাতকের সব ক্রেডিট পূরণের জন্য ১৪ সেমিস্টার সুযোগ দেওয়া, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য সিক বেডে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে ভর্তুকি প্রদান করা।
এ বিষয়ে প্রক্টর মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবির বিষয়ে সকালে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। এর আগেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ধ্রুব জানান, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা পোষণ করেছি। তাদের যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে আমরা তাদের পাশে আছি। আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করতে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এখন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করছি।’
খবর৭১/এসঃ