খবর৭১: মোবাইলফোনে শোনা কথাগুলোই ফেসবুক লাইভে বলার পর সবাইকে রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান নওশাবা। মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর বিষয়টি র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ।রুদ্র নামে এক স্কুল ছাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নওশাবাকে জানায় জিগাতলায় নিহতের খবর।
শনিবার (৪ আগস্ট) রাত ১২টা ৩০ মিনিটে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিতে নওশাবা জানান, ‘ফেসবুক লাইভে আসার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না । জিগাতলা নিয়ে কথা বললেও সে সময় উত্তরা শুটিং স্পটে ছিলেন বলে স্বীকার করেন তিনি। রুদ্র নামের একটি ছেলের রিকোয়েস্টে সে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেছে। যেন সহিংসতা আরও বেড়ে যায়। অথচ রুদ্রর সাথে তার পরিচয় হয় ৩ তারিখে।’
গুজব ছড়ানোর বিষয়ে অভিনেত্রেী নওশাবাকে কোন টাকা দেয়া হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘কারা কারা এর সাথে জড়িত এবং অর্থের লোভে এ রকম অপ্রপচার চালানো হয়েছে কিনা এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার এ প্রধান কর্তা আরও বলেন, ‘আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুরাতন ঘটনার ফুটেজ নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করারও পায়তারা চলছে। এসব ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য আছে। গুজব ছড়ানোর ঘটনায় আরও যারা জড়িত আছে তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
এর আগে রাতেই উত্তরা থেকে নওশাবাকে আটক করা হয়। বিকেলে কাজী নওশাবা তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে জানান, হামলায় আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী মারা গেছে। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর চোখ তুলে নিয়েছে বলেও গুজব ছড়ায় বলে অভিযোগ নওশাবার বিরুদ্ধে। দেড় মিনিটির একটু বেশি সময় ধরে চলা সেই লাইভে তিনি সবাইকে রাস্তায় নামারও আহ্বান জানান। পরে ফেসবুক থেকে ভিডিওটি ডিলিট করেন নওশাবা।
খবর৭১/জি: