ইসরায়েলের দর্পচূর্ণ করল ইরান

0
49

নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আহংকারের শেষ ছিল না ইসরায়েলিদের। তারা ধরেই নিয়ে ছিল তাদের তিনস্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে কেউ ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারবে না।

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সেই দর্পচূর্ণ করে দিয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম আধুনিকায়নে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ের পরেও বাঁচানো যাচ্ছে না ইসরাইলিদের প্রাণ।

বিশ্লেষকদের দাবি, সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে চাপ পড়তে পারে তেলআবিবের অর্থনীতিতে। ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলের সামনে ব্যর্থ হচ্ছে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত আকাশ নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে ইরানের মিসাইল। যার চিত্র ভেসে বেড়াচ্ছে পত্রিকা, টেলিভিশন ও মোবাইল স্ক্রিনে।

১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কাজ শুরু করে ইসরাইল।

যাতে নানাভাবে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলস্বরূপ কয়েক স্তরের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনে সক্ষম হয়েছে তেল আবিব।

স্বল্পপাল্লার আক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করা হয় আয়রন ডোম। ২০১১ সাল থেকে অপারেট করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ৪ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্বের রকেট, ড্রোন ও মিসাইল ঠেকাতে সক্ষম।

যদিও একসঙ্গে বড় হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে অকার্যকর এটি। এছাড়াও শনাক্ত করার মধ্যেই আয়রন ডোমের সুরক্ষা ভেদ করতে সক্ষম অ্যান্টিট্যাংক গাইড মিসাইল ও শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় পাওয়া গেছে এর প্রমাণ।

ইসরায়েল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে একের পর এক আঘাত হানার পর ইসরায়েলিদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা জন্ম নিয়েছে।
তারা বর্তমানে মোতায়েন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর ওপর আর নির্ভর করতে পারছে না। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন শুরু করেছে। তারা ‘বারাক’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মোতায়েন করছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ‘বারাক’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এর আগে আর ব্যবহার করেনি ইসরায়েল। ইরানের ড্রোন ঠেকানোর উদ্দেশে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যে কতটা শক্তিশালী, তা গত এক বছরে নতুন করে বিশ্বের সামনে এসেছে। হামাস ও হিজবুল্লাহর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে নিজের সক্ষমতা বারবার জানিয়ে দেয় দেশটি।

আয়রন ডোমসহ বেশ কয়েক ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের অহংকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা তেলআবিবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করে।

ইরান প্রায় ৪০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও শত শত ড্রোন ছুঁড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন ইসরায়েলি নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করলেও প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এর দশগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা চালানোর পর, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তেহরান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যাচ্ছে। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

হামলার মুখে বহু ইসরায়েলি বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইরানের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে এবং এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তেলআবিবে অবস্থিত ইসরায়েলের কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত সামরিক সদরদপ্তর ‘কিরিয়া’তেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। গত মঙ্গলবার ইরান এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরায়েলের একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার একটি অভিযান পরিকল্পনা কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

তারা দাবি করে, এই হামলার সময় ইসরায়েলের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তারা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে- যা বিশ্বজুড়ে অন্যতম উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত।

আরও পড়ুন: মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিল কাতার

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েল তার ‘আয়রন ডোম’সহ উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আকাশপথে আসা অধিকাংশ হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।

তবে এবার প্রশ্ন উঠছে— ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে এই সাফল্য অর্জন করতে পারল?

ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রে থাকলেও, ‘আয়রন ডোম’ পুরো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ মাত্র। এটি মূলত বহুস্তরবিশিষ্ট ও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ‘নিম্নতম স্তর’, বলেন আল জাজিরার প্রতিরক্ষা সম্পাদক অ্যালেক্স গ্যাটোপোলাস।

‘আয়রন ডোম’ সিস্টেম রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের পর এর গতি ও পথ নির্ধারণ করে এবং প্রয়োজনে মাঝপথে তা ধ্বংস করে ফেলে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এর কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ।

২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের সময় রকেট হামলার মোকাবিলায় এই ব্যবস্থা তৈরি শুরু হয়। এটি ২০১১ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়।
গ্যাটোপোলাস ব্যাখ্যা করেন, ‘আয়রন ডোম’ মূলত নিচু স্তরে ছোড়া রকেট প্রতিহত করার জন্য তৈরি, যেগুলো বড় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজে শনাক্ত করতে পারে না।

ইসরায়েলের কাছে আরও রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘বারাক-৮’, যা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম।

সেই সঙ্গে রয়েছে ‘টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ (থাড), যা স্বল্প, মাঝারি ও মধ্যম-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে।

এছাড়াও ‘ডেভিড’স স্লিং’ নামের একটি ব্যবস্থা আছে, যা মাঝারি থেকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় সক্ষম।

ইরান থেকে ছোড়া দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইসরায়েল ‘অ্যারো-২’ ও ‘অ্যারো-৩’ ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করে। বর্তমান সংঘাতে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে এই ব্যবস্থা প্রধান ভরসা।

‘অ্যারো’ প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার ইসরায়েলি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ’ (আইএআই)। এই ইন্টারসেপ্টর তৈরিতে যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি বোয়িং।

‘অ্যারো-২’ এমনভাবে তৈরি, যাতে এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর এবং ওপরের স্তর থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে।

স্থল প্রতিরক্ষা ছাড়াও ইসরায়েল আকাশ থেকেও প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালায়। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান ও কমব্যাট হেলিকপ্টারের মাধ্যমে গুলি করে ড্রোন ভূপাতিত করা—যা ‘এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ডিফেন্স’ নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে কে জয়ী?
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে তিনটি প্রধান উপাদান—রাডার সিস্টেম, কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, এবং ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রযুক্ত লঞ্চার।

শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র রাডারে শনাক্ত হলে তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে সংকেত পাঠায়। এরপর কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করা হয় কোন লক্ষ্যবস্তু প্রতিহত করা হবে। সাধারণত একটি শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে দুটি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়—বলেন লন্ডনের কিংস কলেজে গবেষক মারিনা মিরন।

সব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ই সীমিত সংখ্যক ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। ইসরায়েলের এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঠিক কতটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তা সাধারণের কাছে প্রকাশিত নয়।

শনিবার ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সফলতার হার ‘৮০ থেকে ৯০ শতাংশ’। তবে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ নির্ভুল নয়, স্বীকার করেছেন তিনি।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা অতিক্রম করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চোখ এড়ানোর কয়েকটি সম্ভাব্য উপায় আছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার একটি কৌশল হতে পারে ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র শেষ করে ফেলা।

‘কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে পারে না,’ বলেন মারিনা মিরন। তিনি বলেন, ‘যদি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র সীমিত হয়, তাহলে তার বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয় না।’

গ্যাটোপোলাস জানান, ইরানের কাছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা উন্নত ও শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প।এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র অনেক দ্রুতগতিতে চলে, ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাড়া দেওয়ার সময় কম পায়।

আরও পড়ুন: ইরানের ভয়ে আকাশসীমা বন্ধ করল ইসরায়েল
মিরন বলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রাডারে শনাক্ত হলেও সেগুলো আটকানো কঠিন। কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে থাকে ‘হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল’ (এইচজিভি)।

এটি একটি ওয়ারহেড, যা ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং শব্দের গতির পাঁচ গুণ দ্রুত গতিতে ম্যানুভার ও গ্লাইড করতে সক্ষম। ইরানের ‘ফাত্তাহ-২’ ক্ষেপণাস্ত্র এই এইচজিভি ব্যবহার করে।

গ্যাটোপোলাস বলেন, এটি দেখতে সাধারণ একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মতো, যার শেষে একটি যন্ত্র যুক্ত রয়েছে।

তিনি জানান, এইচজিভি শুধু দ্রুত নয়, জিগজ্যাগ গতিতে চলে এবং প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো পূর্বনির্ধারিত পথ অনুসরণ করে না।

এর দ্রুত ও অনিয়মিত গতি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চরম সমস্যায় ফেলে, কারণ এসব ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রের পথ অনুমান করে তাদের আটকানোর জন্য ডিজাইন করা হয়।

মিরন বলেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পথ পরিবর্তন করতে পারে, তাই শনাক্ত করা কঠিন। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীতে রয়েছে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন ‘হোভেইজাহ’। ইরান এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: দয়া করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প
যদিও এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে ধীরগতির, তবুও এগুলো এক ধরনের পালসারহীন বিমান হিসেবে নিচু উচ্চতায় স্থিরভাবে উড়ে এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা এড়িয়ে যায়।

মিরন বলেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরেকভাবে পরীক্ষা করা যায়—ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের নকল ‘ডিকয়’ দিয়ে সেগুলোকে বিভ্রান্ত করে সিস্টেম ওভারলোড করে ফেলা।

তিনি বলেন, ‘রাডারে এগুলো হুমকি হিসেবে ধরা পড়ে, কিন্তু আসলে তা নয়। সাধারণত এসব নকল ডিকয় ব্যবহার করা হয় যাতে ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ শেষ হয়ে যায় এবং আসল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো সহজেই সরে যেতে পারে।’

মিরন আরও বলেন, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র এমন প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি, যা রাডারকে প্রতিহত করে, ফলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নজর এড়িয়ে যায়।

গ্যাটোপোলাস জানান, ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাত এখন ‘ক্ষয়িষ্ণু যুদ্ধের’ পর্যায়ে রয়েছে। সোমবার ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানি আকাশসীমায় তাদের আধিপত্য রয়েছে। তবে ইরান থেকে ইসরায়েলের দূরত্ব হাজার কিলোমিটার।

সব মিলিয়ে ইরান এবার ইসরায়েলের দর্প ভালোভাবেই চূর্ণ করে নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here